পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাল সকালে উঠে গেলাম পূজা দেখতে আমলাকুণ্ডু কাছারী। খাওয়াদাওয়া সেরে বিকেলে চা খেয়ে সন্ধ্যার একটু আগে ঘোড়া করে বেরিয়ে পড়লাম। আসবার সময় নৌকায় উন্মুক্ত গঙ্গার উপর জ্যোৎস্না কি অমল, উদার এই সব জ্যোৎস্নায় যেন কার মুখ মনে পড়ে। এই মৃদু হাওয়ায় তার স্পর্শ আছে ১ – ছেলেবেলাকার সেই নবীন শিশিরসিক্ত প্ৰভাতগুলি দিদির মুখের হাসি৷ মাখানো, মায়ের হাসি মাখানো । সেই পাকাটির গন্ধ, নতুন গ্রামে এসেছি, একটু একটু ভারী ম্যালেরিয়া ভরা যেন হাওয়াটা, উঠানে শিউলি ফুল ফুটেছে, সম্মুখে বিস্তৃত অজানা জীবন মহাসাগর। সেই রঘুনাথজী হাবিলদারের কালে৷ তরুণ চোখদুটি ও শিবাজীর হাতের কম্পায়মান উন্নত বর্শা মনে পড়ে । নবীন তাজা প্ৰভাতে পূজার ঢাক বাজছিল গ্রামান্তরে ছাব্বিশ বছর আগেছাব্বিশ বছর আগের পাখীর দল, ফুলের গুচ্ছ আমার গ্রামের পথে পথে বনে বনে অমর হয়ে আছে । এই যে আজ পূজাতে কাহলগতে ঢাক বাজে, পচিশ বছর আগে কি বেজেছিল ঠিক এই রকম । এই রকম হাসিভর ছেলেমেয়ের দল, , , তারা কোথায় সব চলে গিয়েছে । আড়াই শত বছর পরে যারা আসবে তারা অনাগত ভবিষ্যতের সম্পদ, তাদের ভেবে মন কেমন মুগ্ধ হয় । কয়দিন সুরেন বাবুর ওখানে রামচন্দ্রপুর কাটিয়ে আজি হেঁটে ফিরে এলাম । কয়দিন বেলিবনে বসে বসে কি আডডা ! কাল বৈকালে চক্রণেতার নদীর ধারে বেড়াতে বেড়াতে কত কথা গল্প হ’ল । আমি, সুরেনবাবু ও মুরলীধর নদীর ধীরে ঘাসে বসে অস্তগামী সুয্যের দিকে চেয়ে চেয়ে বৰ্ত্তমান সাহিত্যের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করছিলাম । শেষ রাত্রে জ্যোৎস্না উঠলে রওনা হলাম ! সকালে আটটার মধ্যে ভাগলপুর ggज 6तथि 0भऊ भiभi (60 नgट्रम । ৷৷ ৪ঠা অক্টোবর, ১৯২৭, ভাগলপুর। সুরেনবাবুর ওখান থেকে গেলাম C. M. S. Schoolএ । সেখান থেকে এসে নির্জনে বহুক্ষণ অন্ধকারে বসে রইলাম । মানুষ কি ধূলায় গড়াগড়ি দিতে জন্মেছে? তার অদৃষ্ট কি তাকে শস্যক্ষেত্রে ফসলের অ্যাটি বঁধতেই চিরকাল চালিযে নিযে বেড়াবে ? তোমাকের দোকানে পোদারের নিক্তির সাহাষ্যে, মণিকারের কষ্টিপাথরের সঙ্গে সুপরিচয়ের বন্ধনে ? 8go