পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ আর একটা আজগুবি কথা মনে এল। হঠাৎ কলকাতায় গিয়ে প্ৰসন্নদের বাড়ীটা কি মদন মোহন ঠাকুরের বাড়ীর সামনে সেই শৈশবের মাঠগুদামটা ভাড়া নিয়ে বাস করা যায় ? করবে। নাকি ? পিচিশ বছর পরে আবার যদি সেই পচিশ বছর আগের দিনগুলো ফিরে আসে। তবে তো ! ॥ १ट्रे एिठ्6श्लश्न, ७०२१ || কাল রাত্ৰে সৰ্ব্বগ্রাস চন্দ্ৰগ্ৰহণ ছিল। অনেক রাত পয্যন্ত আমি, গোষ্ঠবাবু দূরবীন দিয়ে চাঁদ দেখলাম। খুব যখন অন্ধকার হয়ে গেল তখন গিয়ে শুয়ে পড়ি । আজ সকালে উঠে প্ৰথমে জিনিষপত্র রওনা করে দিলাম । পরে খাওয়ার পরে ঘোড়া করে রওনা হলাম, মিত্ৰ সঙ্গে সঙ্গে এল । লোধ মণ্ডলের টোলা ছাড়িয়ে এসে কাদা ততটা নেই, সেদিন অনাদি বাবুর সঙ্গে দেখা করতে খাওয়ার দিন যতটা ছিল—পরে এসে পরশুরামপুর ঘাটে পৌছুনো গেল । কাছারীটা চিনতাম না-আড়ষ্টারের ক্ষেত বেয়ে বেয়ে এসে কাছারী পৌছান গেল। গ ৩ বৎসর মোহিনীবাবু ধামশ্রেণী গিয়েছিলেন-সেই ধামশ্রেণী । শৈশবের কত স্মৃতি মাপানো ! জিজ্ঞাসা করলাম, রাণী সত্যবর্তীর ঠাকুরবাড়াতে আজকাল রাত্রে সে রকম ভোগ হয়। কিনা—সেই মজাপুকুরটা আছে কিনা । যেখান থেকে ঘোড়া ছেড়ে কারু মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে আসতে আসতে কলািবলিয়ার ধারের পথ বেয়ে দেখি বনোয়ারী পাটোয়ারী আজমাবাদ চলেছে । তারই হাতে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীর বড় খাম খানা দিয়ে দিলাম । কলবলিয়ার পথ বেয়ে বেয়ে কখনো অজারে, কখনো আস্তে ,ঘাড়া ছুটিয়ে ভগবানদাস (টালির মধ্যে এলাম। পাছে পথভুলে যাই, এইজন্য সব সময়ে ডান দিকে বটেশ্বর নাথের পাহাড়টার দিকে নজর রাখছিলাম। সে টোল। ছাড়িয়ে সোজা কলািবলিয়ার ধারে ধারে ঘোড়া ছুটিয়ে এলাম। কলাই ক্ষেতে ক্ষেতে তিনটাঙার প্রজার। কলাই তুলছে। একটা বাবলা বন পেরিয়ে একটা সুন্দর পথে এলাম । বামদিকে পথের ছায়াঝোপ, কি সব ফুল ফুটে আছে, বেশ ছায় পড়েছে--সেইদিকটা কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে ঘোড়া করে এলাম, পরেই আবার একটা উলুখড়ের মাঠের ভেতর দিয়ে ঘোড়া খুব জোরে ছুটিয়ে দিয়ে সামনে দেখি কুতরুটােলা । তারপরেই পরিচিত সহদেব সিং এর বাসা দিয়ে লছমন মণ্ডলের টোলার অড়হর ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে সোজা চলে এলাম। কাছারী । পথে পথে উৎসব বেশে সজ্জিতা নরনারী চন্দ্ৰগ্ৰহণের মেলা দেখে গল্প গুজব করতে করতে কোশকীপুর অঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে । এ যেন @@