পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ নতুন পথে গেলাম। সীমানায়ু চলে গিয়ে অযোধ্যা সিংএর বাড়ীর কাছের পথ ধরে মহারাজির জঙ্গলের পাশের পথ দিযে ঘোড়া ছুটিযে দিলাম । আজকার মত একদৌডে অতটা পথ কোনো দিন ঘোড) যায় নি। ফাকা মাঠ, দুপাশে ঘন কাশের ও নীল খাগডার বন পার হয়ে বড। বাবলা বনটার পাশ দিয়ে সোজা উত্তর-পূর্ব কোণে ঘোড ছাড়লাম ; বটেশপুর দ্বিারা দিয়ে রাস্তা ! মাঠ জঙ্গলের ধার দিয়ে গিযে সোজা পৌছানো গেল। কলবী’লয়ার কিনারায় । কাটারিয়ার এপারে কলাবালয়। যেখানে গিয়ে কুশীর সঙ্গে মিশেছে তার একটু এদিকে জল কম । বটেশপুর দ্বিারা থেকে কলাইএর বোঝা মাথায় নিয়ে মেয়েরা হেঁটে নদী পার হচ্ছে--সেই পথে ঘোড়া শুদ্ধ পার হযে গিয়ে কাটারিয়ার সামনে নতুন রেলপথের ধারে এক বাবলাবনের মধ্যে ঢুকে পড়লাম বেশ সুন্দর ছায়া, পশ্চিমে সূৰ্য্য অস্ত যাচ্ছে-উচু নীচু ভূমি—দুটী মেয়েতে কাঠ ভাঙছিল । তারা বললে, এ রাস্তা নয় পুলে যাবার-সামনে দিয়ে পথ । সেখান থেকে নেমে নতুন বঁাধের নীচে যেতে হবে। কাটিহারের ট্রেনখানা বেরিয়ে গেল ! একটা গুলোতে দুটো বড় বড় জঙিঘল পাখী বসে ছিল। বটেশপুর দ্বিরাতে এক ঝাক ঋ ঘূ পথের পাশ দিয়ে উড়ে গেল।--বন্দুকটার জন্যে হাত নিসপিস করে। তারপর খাড়া উচু পথে বাঁধটার ওপর ঘোড়া উঠিয়ে পুলটার কাছে গেলাম । ডাইনে পঁ। যে ঘন বা বল। বন ও তেলাকুচা ‘ও অন্য অন্য লতাপাতার ঝোপ-সন্ধ্যার ছায়ায় শুষ্ঠােমাল শীতল ৷ কাটারিয়ার ষ্টেশনের ওপারে লাল টকটকে সুস্যাটা অস্ত গেল। ত বিপর সেখান থেকে ঘোড়া ফিরিয়ে আবার ঢালু দিয়ে তেলাকুচাঘেরা বাবলাবনটার মধ্যে নােমলাম। জেলে দুটাে যেখানে রেলবাধের নীচে থুপডী বেঁধে আছে, সেখান দিয়ে নেমে এলাম । তারপর বাবলাবনের পাশ দিয়ে এসে কলবী’লয়া পার হয়ে ,জারে ঘোড়া ছাডলাম ; খুব বেলা গেলে আজ বেরিয়েছিলাম। কিন্তু এতটা পথ গিযে আবার ফিরে এসে ভাল করে অন্ধকার হবার আগেই আজিমবাদী সীমনা ছাডিযে জনকধারী সিং এর বাসার কাছে পৌছে গেলাম । ৷৷ ৮ই জানুয়ারী, ১ন ২৮ ৷৷ আজি দুপুরের পল বটেশ্বরনাথ পাহাড়ে বেড়াতে গেলাম । অন্য অন্য বার যে পথ দিয়ে যাই আজ সে পথ দিয়ে যাই নি । গুহাটার সামনে দিয়ে একটা পথ গভীর বনের দিকে চলে গিয়েছে, সেদিকে গেলাম । ক’ত কি বনের গাছ