পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই যেন বুঝলাম, এই যেন চিনলাম! শেষ রাত্রের নদীর জলে যখন চিকচিকে মিষ্টি জ্যোৎস্না পড়ে, শেওলায় কুলে তাল দেয়, তখন মনে হয় সেখানে তুমি আছ, ছোট ছেলে তার কচি মুখ নিয়ে ভুর ভূরে কচিগন্ধ সমস্ত গায়ে মেখে যখন নরম হাতদুটি দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে যেন মনে হয়। সেখানে তুমি আছ, ওরায়ণ যখন পৃথিবীর গতিতে সমস্ত রাত্রির পরে দূর পশ্চিম আকাশে ঝুলে পড়ে, সেই রুদ্র প্রচণ্ড অথচ না-ধরা-দেওয়া-গতির বেগে তুমি আছ, জনহীন মাঠের ধারে গ্ৰাম্য ফুলের দল যখন ঠাসাঠাসি করে দাডিয়ে আকারণে হাসে তখন মনে হয় তাদের সেই সরল প্ৰাণের প্রাচুৰ্য্য, তার মধ্যে তুমি আছ । তাই বলছিলাম যে কাল শেষরাত্রে তোমাকে হঠাৎ দেখলাম। অন্ধকার প্রহরের শেষ রাত্রের চাদ ও তাব পাশ্ববন্তী শুকতারার পেছনে ? তোমায় প্ৰণাম করি।-- আজ কলেজের কালভার্ট বেয়ে উঠছিলাম। বেলা পাচটা, ঠিক সন্ধোটা হয়ে এসেছে, ছোট ছোট সেই অজানা রাঙা ফুলগাছগুলোব দিকে চেয়ে কেমন হঠাৎ আনন্দ এসে পৌছলো-নাথনগরের আমগাছগুলোর ওপর সূৰ্য্য অস্ত সাচ্ছে, কেমন রাঙা হয়ে উঠেছে সেদিকের আকাশটা--এই সামান্য জিনিষের আনন্দ, কচিমুখের অকারণ হাসি, রাঙা ফলগাছটা, নীল আকাশের প্রথম তারা, ঐ যে পার্শ্বীট। বাকী ডালে বসে আছে, সবগুদ্ধ মিলে এক এক সময় জীবনের কেমন গভীর আনন্দ এক এক মুহূর্তে আসে । মানুষ এই আনন্দ জানতে না পরেই অসুখে, হিংসায়, স্বাৰ্থদ্বন্দ্বে সুখ খুজতে গিয়ে নিজেকে আরও অসুখী করে তোলে... আজ যে মার্টিন লুথারের জীবনী পড়ছিলাম, তাতে মনে হোল এক এক সময় এক-একজন ব্রাতামন নিয়ে পুথিবীতে এসে শুধু যে নিজেই স্বাধীন মত ব্যক্তি করে চলে যায় স্বতা নয়, জড়মনকেও বন্ধন-মুক্ত করে দেবার সাহায্য করে । যেমন সহস্ৰ বৎসরের পুঞ্জীরূহ অন্ধকার এক মুহুর্গের একটা দেশলাইযের কাঠির আলোতেই চলে যায়-তেমনি । কাউকে ঘুণা করতে হবে না। এ জগতে যারা হিংসুক, স্বাথান্ধ, নীচমন। তাদের আমরা যেন ঘৃণা না করি - শুধু উচ্চ জীবনানন্দ তাদের দেখিয়ে দেবার কেউ নেই বলেই তার। ঐ রকম হয়ে আছে। কোন মুক্ত পুরুষ অনন্তু অধিকারের বাৰ্ত্তা তাদের উপেক্ষিত বুভূক্ষণশীর্ণ প্ৰাণে পৌছে দেবে ? ॥ २१र्भ अहझेलम, ००२8, कलिकांड।