পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

about a future life are already dead in this life. Victii at বাবু উকিলের সঙ্গে মুকুন্দ দাসের যাত্রা শোনা গেল। ৷৷ ১৪ই মার্চ, ১৯২৮ ৷৷ আজ ভণ্ড সিংএর জাহাজে বিকালের দিকে ভাগলপুর থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যার পূর্বে এলাম মহাদেবপুর ঘাট। মেঘান্ধকার সন্ধ্যা-মুকুন্দ, মাগব, পুরাণ, হুটু সিং এবং সিপজী ও রূপলাল-এই কয়জন সঙ্গে অন্ধকারের মধ্যে ঘোড়া চালিয়ে আসতে সাহস না পেয়ে আস্তে আস্তে এলাম । বালির চরে আসতে না আসতে অন্ধকার হয়ে গেল-বঁ-ধারে পর্বতার জঙ্গলে আগুন জলছে । গঙ্গার ঘড়িয়ালগুলো আমাদের পায়ের শব্দে হুডুম হুড়ুম ক’রে জলে নেমে গেল। আমি নেমে হেঁটে চললাম। মুকুন্দকে বললাম, গল্প বল-সে গল্প আরম্ভ করে দিলে। খানিকট এসে দিকভ্ৰম লাগল বালির চরে ওপরে। এত ঘন অন্ধকার যে, দু’হাত তফাতের মানুষ দেখা যায় না-আমার বড় লণ্ঠনটা জেলে নিয়ে তবু অনেকটা সুবিধে হ’ল। মুকুন্দ বললে, রাক্ষসের আলো জলছে—এদেশে আলেয়াকে রক্ষসের আলো বলে। কত ভূতের গল্প হ’ল। “দেবতার ব্যথায়” এইরকম লিখতে হবে যে, কোনো উন্নততর গ্রহের জীবের। অসীম-শূন্য বেয়ে দূর গ্রহের উদ্দেশে যাত্ৰা ক’রে-পথও হারিয়ে যায়। অসীম শূন্য বেয়ে, অসীম অন্ধকারে তাদের যাত্রা, দুৰ্জয় সাহসী Pioneers! ॥ >&शे भां6, • •२ध्’ ॥ আজ বিকালে ঘোড়া ক’রে পরশুরামপুর কাছারা এলাম। কুলির আগেই রওনা হ’য়ে গিয়েছিল। মুনেশ্বর ধ’রে-বেঁধে একজন কুলিকে শেষে জোগাড় ক’রে তাকে দিয়ে টেবিল চেয়ার পাঠালে। আমি একটু বেলা গেলেই রওনা &ra i <sia Imperial Library C (- Conradeq; বইখানা পাঠিয়ে দিয়েছে-আজ সেইটা পড়ছিলাম। আজকাল ইসমাইলপুর কাছারীটা বড় সুন্দর লাগে। দুবলীঘাসের ফুল, কািন্টকারীর বেগুনী ফুল, বনামূলোর ফুল, আকন্দের ফুল। বৈকালে আজ বেড়াতে গেলাম, ক্ষেতে ক্ষেতে পাকা শস্যের গন্ধ, কাটুনি মজুরের ফসল কাটছে। কাছারীর ওপর দিয়ে দু’বেলা মেয়েমানুষেরা যাচ্ছেসকালটা বেশ লাগে। কি অদ্ভুত দুপুত্বটা-দুপুর রোদে ঝাউ ও ঝাশবন যেন কোন রহস্তের গভীর মায়া, যবনিকায় ঢাকা থাকে। কত অসম্ভব। আর আজগুবি 砂8