পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেলাম। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম-কোন বিদেশে আছি-আজ আমার দেশে বৃহস্পতিবারের হাট, পঞ্চাননতলা দিয়ে মনো শ্যামাচরণ দাদা, ফণীকাকা হাট ক’রে ফিরছে।-কেউ জিজ্ঞাসা করছে—আজি বেণ্ডনের সেরা কত ? তুমি বুঝি এখন হাট থেকে এলে? আমার মায়ের হাতে পোতা সজনেগাছ-ভাঙাকলসী-হরি রায়ের বিষয় সে সব থেকে কতদূরে বিদেশে ঘোড়া করে - বেড়াচ্চি-অজানা গ্রামের পথে পথে, অজানা ঘেটুফলের ঝোপের ধারে ধারে-আমার কি সাজে। কলকাতার আফিসে ব’সে বদ্ধ হওয়ার কাজ ? আমার জন্যে এই আকাশ ওই সুৰ্য্যাস্ত ওই নদী ওই মুক্ত হাওয়া, স্বাধীনতা-অপূর্ব অপরাহ ! ডেক্সে ব’সে শুধু লেখার কাজ আমার নয় । | ミミび* si55。>あペッ| কাল বৈকালে পরশুরামপুরে দ্বিারার লাচটুিলিয়ার এপারে খুব দাঙ্গা হ’য়ে গেল । দাঙ্গার হৈ হৈ শব্দ কাছারী থেকে শোনা যাচ্ছিল । নারায়ণকে ঘোড়া দিয়ে পাঠান হ’ল। খুব ঘোড়া ছুটিযে গিয়ে খবর দিলে-আজ সকালে আমি ও সুঢ় ঘোড়া ক’রে জঙ্গলের পথে ইসমাইলপুর চ’লে এলাম। পাচটার সময় ঘুম থেকে উঠে চেয়ার নিয়ে বারান্দাটাতে বসলাম। দূরে নীল পাহাড়টার দাকে চেয়ে মনে হ’ল, সুন্দর ইছামতী-আমাদের গ্রাম-এই বৈশাখের সুগন্ধভরা প্রভাত, অপরাহ্ন, সেই আম জাম তলা, মাঠ, নদী-ঠাকুরমাদের বেলতলাটা।--বেলফুলের গন্ধ-কতদিনের কত আনন্দ ! খুব জ্যোৎস্না-বড় সুন্দর লাগল। ॥ ९b°८थं भीष्5, »०९> ॥ পরশু গেল রামনবমী। বসে বসে ভাবছিলাম। এই দুপুরে এতক্ষণ পা ছড়িয়ে বালির ওপর দিয়ে সব খেতে চলেছে কারা ? রাখাল রায়, হরিশ বঁড়িয্যে, বাবা এরা নন। তাদের পৌত্রের দলেরাই বেশী। সন্ধ্যার সময় বাদা ময়রার দোকান খুলবে-এই জ্যোৎস্নায়। জীবনটা একটা অবাস্তর রূপকথার কাহিনীর মত মধুর ও রহস্যময় ঠেকে। তারা ভরা আকাশের দিকে চাইলে সেই চাপাপুকুরের নিমন্ত্রণ খাওয়ার বাড়া, আড়ংঘাটার ঠাকুরবাড়ীর ছাদ মনে হয়। সমুদয় আকাশ, তারাগুলো অপূর্ব