পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৯৭

 মীনার এই অতর্কিত নিষ্ঠুর আক্রমণের জন্য কেহই প্রস্তুত ছিল না। রণেন্দ্র লজ্জিত ও অপ্রতিভের ভাবে অমিয়ার মুখের দিকে চাহিয়া দেখিল; তাহার মুখখানি ছাইয়ের মত বিবর্ণ হইয়া গিয়াছে। সে অনুতপ্তভাবে কহিল—“এ আপনার বাড়িয়ে বলা বৌঠাকরুণ আমি ঠিক্ সে কথা বলিনি। যাঁরা আমাদের সাহায্য চান্— আমাদের সবল বাহু আনন্দের সঙ্গেই তাঁদের সাহায্য কর্‌তে প্রস্তুত থাকে। কিন্তু যাঁদের মনের বল বেশী, আমাদের সাহায্য ত তাঁদের দরকার হয় না?”

 কথা-শেষে সে আর একবার অমিয়ার দিকে চাহিল— মুখখানি ভাল দেখা গেল না। আলোর দিকে আড়াল করিয়া সে তখন খোকার জামার বোতামে গোলাপ-ফুলটি পরাইয়া দিবার চেষ্টা করিতেছিল। খোকাও পরাইতে দিবে না, হাতে লইবে—সেও হাতে দিবে না, বোতামে লাগাইবে। কাজেই দুই জনে ছোটখাট একটু যুদ্ধ বাধিয়া উঠিয়াছে। মীনা কহিল—“এত ছেলেমানুষিও তোমার আসে ভাই! ঐ জন্যেই ত ছেলের মার চেয়ে ভাল হয়েচেন মাসী। কিন্তু ঠাকুরপো, তোমরা ফিলজফারের দল—ওর চুম্বকার্থ যাই বিশ্লেষণ করে বার ক’র, আমাদের সরল বাঙ্গলায় আমরা ত বুঝি—‘যারে বলে চালভাজা