পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

একাদশ পরিচ্ছেদ

অমিয়ার সঙ্কোচ

সেদিন বিকাল বেলায় বাহিরে বেড়াইতে যাইবার জন্য অমিয়া একটু সকাল সকাল প্রস্তুত হইয়াছিল। আজ সে একখানি ফুল্‌দার খয়ের-রঙের ঢাকাই-শাড়ী ও ঐ রঙেরই একটি ব্লাউজ্ পরিয়াছিল। কাণে দুটি মুক্তার দুল ও দু’একটি সৌখীন চুণীপান্নার সেফ্‌টিপিনও যথা স্থানে বিন্যস্ত হইয়াছিল। এখানে অপ্রয়োজনবোধে কোন সৌখীন জিনিষেরই আবশ্যক হয় না। আজই যে কি এমন প্রয়োজন বোধ হইয়াছিল—তাহা সে নিজেই বলিতে পারে। তাহার মনে যে একটা রঙিন নেশা—ধরিয়াছিল, তাহা কেবল পরিচ্ছদ পরিবর্ত্তনে নহে—কেশ-রচনাতেও অভিজ্ঞ চক্ষের প্রথম দৃষ্টিতেই ধরা পড়িয়াছিল।

 বাগানের পথে বাহির হইতেই মীনার সহিত ‘চোখাচোখী’ হইয়া গেল। দালানে মাদুর বিছাইয়া একরাশি বিচিত্র উপকরণ ছড়াইয়া মীনা তখন অভিনিবেশসহকারে চুল বাঁধিতেছিল। সিন্দুর-কৌটা, জলের ঘটি, চুলের দড়ি,