জানিয়া লয়। খোকাটি এমন অসময়ে ঘুমাইয়া পড়িল নাকি? নহিলে এমন নিঃশব্দ অবস্থা ঘটিতে দেওয়া ত তাহার দ্বারা অকারণে সম্ভব নয়। রণেন্দ্র এখন কি করিতেছেন কে জানে? এ সময় ঘরের জানালাগুলি আঁটিয়া দিয়া চুপচাপ শুইয়া আছেন না কি? না—নিশ্চয়ই বেড়াইতে গিয়াছেন। আচ্ছা, এই অবসরে অমিয়া যদি একবার উহার ঘরখানায় ঘুরিয়া আসে, তাহাতে দোষ হয় কি? কেহই ত এখন এদিকে আসিবে না। অমিয়া কোথা—সে সম্বন্ধে কোন সংবাদ ও ত লইবে না। সকলেই জানে— সে এ সময় বেড়াইতে যায়। অমিয়ার মনে সুমতি ও কুমতির দ্বন্দ্ব বাঁধিল। সুমতি কহিল—“মালিকের অনুপস্থিতিকালে তাঁহার বিনানুমতিতে অনধিকার-প্রবেশে তোমার আবশ্যকই বা কি?”
কুমতি জবাব দিল—“প্রয়োজন এমন গভীর কিছু নয়, কেবল ঘরখানি একবার দেখিয়া শুনিয়া ঘুরিয়া আশা মাত্র।”
সুমতি কহিল—“চুরি করিবে নাকি? প্রয়োজন যদি নাই, তবে পরের ঘরেই বা ঘুরিতে যাওয়া কেন?”
কুমতি কহিল—“চুরির মতলবেই কি ভদ্রলোকে ভদ্রলোকের ঘরে যায়? পড়িবার মত কোন বই টই যদি