উকীল!” বলিয়া সে সখীর ট্রাঙ্ক গোছানর কাজে সহায়তা করিতে লাগিল।
লজ্জিত ভাবটা গোপন করিবার অভিপ্রায়ে, কাজের ছুতায় ভাঁজ করা শাড়ীর ভাঁজ খুলিয়া পুনরায় ভাঁজ করিতে করিতে অমিয়া কহিল—“ওঃ! তা হলে ‘ফি’ পেয়েচ বল! আমি বলি ব্যাগার। ভিক্ষে নয় তা হ’লে!”
“না ভাই, ফি পাইনি এখনও, ধারে—ওকি গরম কাপড়গুলো সবই যে ভ’রে ফেল্লে? শালখানা আর রাগ্টা বাইরে থাক্, ট্রেণে দরকার হবে ত” বলিয়া সে ভ্রম সংশোধন করিয়া দিলে, অমিয়া মুখ নীচু রাখিয়া ট্রাঙ্কে জিনিষ ভরিতে ভরিতে হাসিয়া কহিল—“তারপর, কাণ্ডটা কি কর্তে হবে শুনি? প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়ে শেষ যেন দাতাকর্ণের দুরবস্থা করে ছেড় না।”
“নিশ্চয়ই না। আমায় কি তুমি এমনি অকৃতজ্ঞই ঠাওরালে শেষে? মা ভৈঃ!”
“তবে আমিও বরপ্রদা হ’লাম। বল কি কর্তে হবে—রণে বনে বাণিজ্যে ব্যসনে সহমরণে—কিসে তুমি আমার সাহায্য বা সঙ্গ চাও?” বলিয়া হাসিমুখে মুখ তুলিতেই মীনা তাহার ডান হাতখানা নিজ দুই করতলে চাপিয়া ধরিয়া কহিল—“বুঝ্তে তুমি ঠিক্ পেরেচ অমিয়া!