করে শেষে কি মানুষ খুনের মামলায় পড়্ব? রাগ কোর না ভাই, আমি এর পর সারাক্ষণটাই তোমার কাছে কাটাব। মানুষের মনটা ভারী বদ্। যেমন দুর্ব্বল, তেম্নি চঞ্চল, শুভবুদ্ধিকে তাই চট্ করে বেঁধে ফেলাই সদ যুক্তি।”
অমিয়ার মুখের পানে চাহিয়া তাহার মনের দোলায়িত অবস্থাটি বুঝিয়া লইতে বুদ্ধিমতী মীনার বিলম্ব হয় নাই। সে তাই বিষয়টিকে পাকা করিয়া ফেলিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছিল। এ ভার সে রণেন্দ্রকে লইতে দিতে সাহস করে নাই—পাছে সে আনাড়ীর মত আরম্ভেই খেলা কাঁচাইয়া বসে! সে বেচারী যখন হার মানিয়াই লইয়াছে, তখন তাহাকে লইয়া আর খেলাইয়া ফল কি? একেই ত দেশ ছাড়িয়া সে তাহার নূতন ব্যবসায়ের কার্য্যে বিদেশে যাইতেছে, কেবল মীনার কাছে কোন গোপন আশার আশ্বাসবাণী পাইয়াই না যাওয়া স্থগিত রাখিয়াছে। এ সময় তাহার মানসিক গোলযোগের কালে আর অকারণ ভাবনা বাড়াইয়া দুঃখ দিয়া লাভ কি? স্নেহপাত্রকে প্রকৃত দুঃখ পাইতে দেখিলে নিজেও যে সুখী হওয়া যায় না, মীনা তাহা ভালই বুঝে।