পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
স্রোতের গতি

দর্শন দিয়াই চলিয়া গেলেন। বাড়ীতে স্ত্রীর শরীর খারাপ—ছেলের পরীক্ষা নিকটবর্তী, ছোট মেয়েটির সর্দ্দি দেখিয়া আসিয়াছেন, বিলম্ব করিবার ত উপায় নাই! নহিলে এসব হাঙ্গাম পোহান’ ত তাঁহারই কর্ত্তব্য। কিন্তু কি করিবেন, তিনি যে একান্তই নিরুপায়।

 বাবা আসিয়াছেন শুনিয়া অমিয়া ছুটিয়া বাহিরে আসিয়াছিল। এখন আর সে নিতান্ত ছোটটি নাই। নিজের অবস্থা অনেকখানি বুঝিতে পারে। স্কুলের মেয়েদের বাড়ী গিয়া দেখে, তাহাদের অনেকেরই বাবা আছেন। বাবা কত ভালবাসেন, কত আদর করেন, সে মনে মনে ভাবে, কবে তাহার বাবা তাহাকে দেখিতে আসিবেন, আসিলে সে আর সহজে ছাড়িয়া দিবে না। মাসীমার অনুমতি লইয়া সে একবার তাহার বাবার বাড়ী দেখিয়া আসিবে, তাহার ছোট ছোট ভাই বোন্ গুলিকে আদর করিবে, ভালবাসিবে। মাসীমার কাছে এসব কথা সে কিছুই বলে না, বলিতে সাহসও করে না। তাহার কারণ, সে বুঝিতে পারে, মাসীমা তাহার ভাই বোন্ গুলিকে ভালবাসেন না—আর তার বাবাকে ঘৃণা করেন। তাই অনেক দিনের রুদ্ধ উচ্ছাস সহসা ছুটিয়া বাহির হইতে গিয়া আবার বাধাপ্রাপ্ত হইয়া, এক মুহূর্ত্তে থমকিয়া