পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
২৩

দেখিতে কহিল—“তা ত হ’তে পারে না এখন—এই দেখুন না কতগুলি এন্‌গেজমেণ্ট র’য়েছে আমার এ মাসে। এই— সভারই য়্যানিভার্সারির সময় এসে গেল। নাঃ—কল্‌কাতা ছেড়ে এখন এক পাও আমার যাবার উপায় নেই।”

 মিস্ চৌধুরী নিজেও স্বাধীনা নারী। জীবনযাত্রার জন্য এই শিক্ষিতা মেয়েটি এই পথই বাছিয়া লইয়াছিলেন, পুরুষদের সহিত সমকক্ষতা লইয়া বিবাদ ঘোষণার তাঁহার কোন প্রয়োজন হয় নাই। অমিয়ার কথায় ওষ্ঠ কুঞ্চিত করিয়া তাচ্ছীল্যের ভঙ্গীতে কহিলেন—“এঃ— হবে না আবার? খুব হবে! আমি বল্‌চি হবে। দু’মাস সহর ছেড়ে বাইরে গেলেই তোমার কুমারী-সভা ভেঙ্গে টুক্‌রো টুক্‌রো হ’য়ে প’ড়ে যাবে না গো? আর যাই যদি, তবে তা’কে ভাঙ্গতেই দাও। যাতে ভাঙ্গন ধ’রেচে, তাকে মাটী ফেলে ফেলে কাঁহাতক্ আর আটকে রাখবে?”

 অমিয়া অপ্রতিভের ক্ষীণ হাসি হাসিয়া কহিল—“আচ্ছা ভেবে দেখি, সম্পাদিকা দার্জ্জিলিং যাচ্চেন, না হয় তাঁরই সঙ্গী হওয়া যাবে।”

 মিস্ চৌধুরী বাধা দিবার ভাবে কহিলেন—“তবেই হ’য়েছে মনিকাঞ্চনযোগ! না না—অমন কাজটি কোরো না। তার সঙ্গে যাবার অর্থ—তোব্‌ড়া তুব্‌ড়ী খাতাপত্র