করে? ঐ এক বুলি—চল্বে না, সম্পাদিকা বেজার হবেন। এমন ক’ল্লে বাঁচ্বি কেমন কোরে বাপু?”
কথা-শেষের সঙ্গে সঙ্গে সত্যবতীর চোখেও জল আসিয়া পড়িয়াছিল। তাঁহার দুঃখময় জীবনের একমাত্র আশাজ্যোতিঃ এইটুকুকে অবলম্বন করিয়াই—যে তাঁহার বাঁচিয়া থাকা।
মিস্ চৌধুরী তাঁহার স্থূল দেহখানি দুলাইয়া অবজ্ঞাভরে কহিলেন—“সম্পাদিকা বেজার হবে—ওঃ ভারী ত।— তোমায় জিরেন্ নিতে হবে। কোথায় যাবে বল দেখি? আচ্ছা দেখ—মিনার ওখানে যেতে পারত। এক্কেবারে সেকেলে জায়গা—চমৎকার স্বাস্থ্যকর, তোমার পক্ষে ঠিক্ উপযোগী হবে। আধুনিকতার গন্ধও সেখানে নেই। সত্যিকারের বিশ্রাম পাবে।”
অমিয়া কহিল,—“কিন্তু তাঁদের ওখানে সে মেয়েদের থাক্বার মত—”
“না গো লক্ষ্মি, স্যানিটেরিয়ম ট্যাম নেই কিছু সেখানে। তা হলই বা, তারা ভারী অতিথিপরায়ণ। বল্চি কি তবে, একেবারে পৌরাণিক—দেশটিও—দেশের মানুষগুলিও। আমার অবশ্য আপন জন,—সেজ্দির মেয়ে; গত বৎসর সেখানে গিয়ে দু’মাস যখন থেকে এলুম—ইচ্ছে হ’চ্ছিল না যে ফিরে আসি!”