পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
স্রোতের গতি

 সত্যবতী তাঁহার স্থূল দেহের প্রতি ইঙ্গিত করিয়া হাসিয়া কহিলেন—“তা মিথ্যে বলনি ভাই, দেহখানি যা গ’ড়ে এনেচ, একেবারে পৌরাণিক কালের ইট্ দিয়েই গাঁথা, অল্প ঝড়ে ভাঙ্গচে না।”

 দুই বন্ধুতে বেশ একটু হাসিতামাসা চলিল। মিস্ চৌধুরী কহিলেন—“মাসীর আঁচল ছেড়ে দু’দিন বাইরে একটু ঘুরে এস অমি, বেশ সেরে যাবে। খাসা জায়গা।” —ইহার পর সুন্দর হল্‌দে রঙ্গের একটি ছোট বাড়ী, লতাপাতা-ঘেরা ছবির মত একখানি বাগান, গোচারণের সবুজ মাঠ, স্বল্পতোয়া বঙ্কিমগতিশালিনী নদীটির পর্য্যন্ত এমন একটি মনোরম বর্ণনা দাখিল করিলেন যে, সম্পূর্ণ অনিচ্ছা সত্ত্বেও অমিয়ার “না” বলিবার সাধ্য রহিল না। থাকার সম্বন্ধে বন্দোবস্তের ভার ডাক্তার নিজেই লইলেন। হোটেলখরচা তাহারা নাই বা লইল? ইচ্ছা থাকিলে ঋণ পরিশোধের উপায়ের অভাব হয় না। উঠিবার সময় সত্যবতীকে কহিলেন—“আস্‌চে শনিবার ওকে আমি নিজে গিয়ে ট্রেণে তুলে দিয়ে আস্‌ব—সেখানে দু’একদিনের ভেতরেই চিঠি দেব। এর মধ্যে সেরে ওঠা চাই।”

 নির্দ্ধারিত দিনে মাসীমাকে প্রণাম করিয়া, অমিয় তাহার অল্পস্বল্প লগেজপত্র লইয়া যাত্রা করিল। মিস্