রং ফুটে উঠ্বে যে, তাতে করে তোমার স্বপক্ষ বিপক্ষের দল মুগ্ধ হয়ে যাবে।”
অমিয়া ঈষৎ প্রতিবাদের সুরে কহিল—“তাতে যে পল্লীচত্র দেব এমন ত কোন সঙ্কল্প নেই আমার।”
“তা ত নিশ্চয়ই। এই চাকার তলায়ই ঘুর্চ কিনা! পল্লীচিত্রের কল্পনা কর্বে কোত্থেকে? দেখ বাছা, একবার বাইরে বেরোবার দরকার হ’য়েছে তোমার। ভারী সহুরে মেয়ে তুমি! তোমাদের বিশ্বাস, সহরের ভোগের জন্যেই ভগবান কেবল পাড়াগাঁয়ের সৃষ্টি ক’রেচেন। সহরের বাইরে যাওনি ত কখনও? বড় যদি গিয়েচ ত বালীগঞ্জ ভবানীপুর বা বেহালা—ব্যস্, এই ত তোমাদের পল্লীর আইডিয়া? ওখানে যাও ত একবার দেখ্বে কত নূতন নূতন লেখার জোগাড় আপনি হয়ে যাবে। তোমরা যে সব ‘পদদলিত স্ত্রীজাতি’র দুঃখের কান্না কাঁদ্চ, তারা কারা গো? এই সব সহুরে মেয়ে, যারা গান-বাজ্না, সভা-সমিতি করে বেড়াচ্চেন, থিয়েটার বায়স্কোপ দেখ্চেন, বক্তৃতা দিচ্চেন, নভেল লিখ্চেন, তাঁরা? না, যারা পৃথিবীর মাখন যোগাচ্চে, ধান ভান্চে, সূতো কাট্চে! বোঝাও না তাদের গিয়ে?”
হুইসিল্ দিয়া ট্রেণ চলিতে আরম্ভ করিল। স্পষ্টবাদিনী মিস্ চৌধুরীর বক্তৃতার বাকী মন্তব্যটুকু অব্যক্তই রহিয়া