পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

প্রবাসে

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় ট্রেণখানি তাহার মন্থরগতি একটি জঙ্গলময় ক্ষুদ্র ষ্টেশনের ধারে সংযত করিল। কোন আরোহীই সে ষ্টেশনে নামিল না। অমিয়া—কুলীর জন্য বারকতক ইতস্ততঃ দৃষ্টিপাত করিয়া নীল বা খাকী রঙের জামাপরা কুলীবেশী কাহাকেও দেখিতে পাইল না। ক্ষীণ সুরে বারকতক “কোলী, কোলী” করিয়া উদ্দেশে হাঁকাহকির পরে, ট্রেণ বেশীক্ষণ দাঁড়াইবে না বুঝিয়া নিজের লাগেজ-পত্র টানাটানি করিয়া নিজেই নামাইয়া লইল; এবং পরক্ষণেই রক্তচক্ষু সর্পগতি ট্রেণখানি শব্দ করিয়া ষ্টেশন হইতে বাহির হইয়া গেল।

 অমিয়া ইতস্ততঃ চাহিয়া দেখিল, ষ্টেশনে কেহই তাহাকে নামাইয়া লইতে আসে নাই। অবশ্য এজন্য তাহাকে কষ্ট করিয়া ষ্টেশনের বাহিরে খোঁজ লইতে যাইতে হয় নাই। কারণ—‘বাহির’ বলিয়া এখানে বিশেষ কোন