পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৩৫

ফিরিয়া সে আগে ডাক্তারকে দেখিয়া লইবে! কেন সে এমন করিয়া তাহার সহিত শত্রুতা সাধিল?

 ঘণ্টাখানেক পথশ্রমের পর সে বুঝিতে পারিল, এই বার তাহার ঈপ্সিত স্থানের কাছাকাছি আসিয়া পৌঁছিয়াছে। রাস্তা—সে কি সোজাসুজি সমতল পথ?—উঁচু-নীচু, নালা খাল, পাথরের ঢিবি, কোথাও ঝোপ-ঝাপ, কাঁটাগাছ, কত বাধা বিপত্তি যে দলন করিয়া চলিতে হইতেছিল; রেশমী শাড়ীর আঁচলে টান পড়ে, ফিরিয়া ছাড়াইয়া লইতে হয়। সুদৃশ্য পাম্প-সু জুতা-যোড়াটি রাস্তার ধূলায় আচ্ছন্ন হইয়া গিয়াছে। দুর্ব্বল শরীরে পথের ও মনের কষ্টে এক একবার তার মনে হইতেছিল যে, এত দুঃখ সহিয়া শরীর সারান’র চেয়ে কলিকাতায় ইন্‌ফ্লুয়েঞ্জায় মরিয়া যাওয়াও তাহার ঢের ভাল ছিল। এইবার সে সমতল জমি পাইয়াছে। বড় বড় খামার, গোশালা, ধানের গোলা, মরাই চোখে পড়িতেছিল। এ সব গোলা, মরাই তাহার অদৃষ্টপূর্ব্ব; কেতাবে পড়া থাকিলেও চোখে না দেখায় ইহাদের মর্ম্ম তাহার সম্পূর্ণ বোধগম্য হইতেছিল না। রাস্তার বাঁক ফিরিতেই সম্মুখে একটি বড় একতলা বাড়ী। তাহার গেটের উপর গোলাপী ছোট ছোট ফুলভরা, সবুজ লতাগাছগুলি চক্ষুকে তৃপ্তিদান করিতেছিল। গেটের