পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
স্রোতের গতি

ফুল ঝরিয়া যেন পুষ্পাঞ্জলি দিয়াছে। মীনা মুগ্ধ হইয়া সেই বনদেবী-মূর্ত্তির পানে চাহিয়া থাকিত। সেই সঙ্গে একটা নূতন সাধও তাহার মনে ধীরে ধীরে জাগিয়া উঠিত। আহা তা যদি হয়, বেশ-হয়। স্বামীর কাছে এ প্রসঙ্গ তুলিয়া কোন ফল হয় নাই; তিনি তাহার আশাতরু অঙ্কুরেই তুলিয়া ফেলিতে উপদেশ দিয়াছিলেন; বলিয়াছিলেন,—“তুমি ত জান না, পুরুষকে উনি কত ঘৃণা করেন। জান্‌লে—একথা বল্‌তে পারতে না।” তাই সে মনের ভিতরের গোপন আশাটিকে আর বাড়িতে দিতে সাহস করে নাই। তবু সেদিন মনে মনে সে প্রার্থনাও করিয়াছিল—ভগবান যেন একদিন এই দর্পিতা নারীর দর্পচূর্ণ করিয়া বুঝাইয়া দেন যে, দাসীত্ব নারীর জীবনের চরম দুঃখ নহে—তাহার প্রার্থিতও বটে।