পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৭১

ব্যাখ্যায় দরকার নেই। আমরা নিজেরাই সে সব ভেবে নেব―আপনার সাহায্য চাইবও না।”

 “ভদ্রে, আপনার সাহস প্রশংসনীয়। কিন্তু আমার মনে হচ্চে, আজই যেন দাদার বইয়ের আলমারীটা সরিয়ে দেবার জন্যে অভাগা পুরুষমানুষদেরই সাহায্য করবার কথা ছিল। কিন্তু এখন দেখ্‌চি তার আর বোধ হয় দরকার হবে না, সেটা আপনাদের আত্মশক্তিতেই কুলিয়ে যাবে”―বলিয়া রণেন্দ্র পুনরায় হাসিয়া কহিল―“এই সব জ্যাঠামোগুলো দেখলে আমার কিন্তু ভারি বিরক্তি ধরে। পুরুষ-জ্যাঠা বরং সওয়া যায়, কিন্তু মেয়ে-জ্যাঠা একেবারেই সয় না! ওকি―মুখ অন্ধকার কল্লেন যে? দোহাই আপনার, আপনাকে গায়ে পেতে নিতে আমি কোন কথাই বলিনি। আমি বল্‌চি, যাঁরা নিজেদের শক্তিতে সমাজের ধারা বদ্‌লাতে চান, তাঁদের কথা। যাঁদের মাকড়সা দেখ্‌লে মূর্চ্ছা হয়, তাঁদের মুখে অত লম্বাই-চৌড়াই মানায় না। যাঁরা আমাদের সাহায্য চান, খুসী হ’য়ে আমরা তাঁদের সাহায্য কর্‌তে পারি। কিন্তু যাঁদের পদে পদে আমাদের সাহায্যের আবশ্যক, তাঁরা যদি মুখে বলেন―‘ডোণ্টকেয়ার’―তা হ’লে সহ্য করা বাস্তবিকই অসম্ভব হ’য়ে পড়ে। আচ্ছা, আমি তা হ’লে এখন আসি―কথাগুলো অবকাশমত ভেবে