পাতা:হজরত মহম্মদের জীবন-চরিত ও ধর্ম্মনীতি.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ হিজরত মহম্মদের জীবন চরিত ও ধৰ্ম্মনীতি। ' ( করিও।” হজরত মহম্মদ আরাকার কথা শ্রবণ করিয়া আশ্বস্ত । হইলেন। একদা মহাতপা হজরত মহম্মদ রমজান মাসের সপ্তবিংশ দিবসের মধ্যনিশীথে সেই গিরিকন্দিরের নির্জনতায় ধ্যানমগ্নাবস্থাপন্ন ; জীবজগত বিরামদায়িনী নিদ্রার মোহালিঙ্গনে অভিভূত, লোকালয়ে, মরুপ্রান্তরে ও পৰ্বতশিখরে নিস্তব্ধতা যেন আপন পূৰ্ণপ্রভাব বিস্তার করিয়া রাখিয়াছে। এমন সময়ে সাগরকল্লোলের ন্যায় এক গভীর নিনাদে সেই মহাতপাৱ । ধ্যান ভঙ্গ করিয়া দিল ; তিনি পুনরায় সেই শব্দের জন্য উৰ্দ্ধকৰ্ণ হইলেন-আবার সেই ভীষণ শব্দ শ্রত হইল। সহসা সেই ভয়ঙ্কর ভৈরবচনাদ শ্ৰবণ করিয়া ভয়ে তাহার হৃদয় বিশুষ্ক হইয়া গেল ; সৰ্ব্ব শরীয় ভীষণ ঝটিকাকম্পিত কদলীদলের ন্যায় প্ৰকম্পিত হইতে লাগিল । সুতরাং দ্বিতীয়বারের সে শব্দের মৰ্ম্ম হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিলেন না । মহাত্মা নিৰ্ব্বাকে, ভয়কম্পিত্যকলেবরে গিরিগুহার অভ্যন্তয়ে চারিদিকে দৃষ্টি সঞ্চালন করিতেছেন, এমন সময়ে সহসা এক অপার্থিব জ্যোতিঃ বিকীর্ণ হইয়া সমগ্ৰ গিরিকদের আলোকিত করিয়া তুলিল। মহামনাঃ হজরত মহম্মদ সেই আকস্মিক জ্যোতিঃরাশি দর্শন কৰিয়া ভয়ে একেবারে । আড়ষ্ট ও বাকৃনিম্পত্তি রহিত ও স্বেদসি ভক্ত কলেবর হইয়া গেলেন। তখন সেই জ্যোতিঃরাশির মধ্য হইতে এক বিরাট পুরুষ (জেব্রিাল ) আবির্ভূত হইয়া হজরতথমহম্মদকুে বলিলেন, “হে মহম্মদ! 'আল্লাতায়ালা। আমাকে তোষার নিকট পঠাইয়াছেন, তুমি তাঁহার নিরোজিত ধৰ্ম্ম প্রচারক, আমি তাঁহার দূত রূহােলআমিন (জেব্রিলি) ” তৎপরে: তিনি হজরত মহম্মদকে বলিলেন, “এক দ্বা” অর্থাৎ পাঠ কয় ?” তিনি বলিলেন, “কেমন করিয়া পড়িতে হয়, তাহা আমি জানি না।” তখন জেব্ৰিল তঁহাকে ধরিয়া হেলাইলেন এবং বলিলেন, “একয়া” পাঠ কথt;