পাতা:হজরত মহম্মদের জীবন-চরিত ও ধর্ম্মনীতি.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । তৃতীয় হিজরীর ঘটনাবলী। কারকারাতোেল কদর ও নেজদের যুদ্ধ। বনি সালেম ও বনি গাৎফান নামক দুইটী ইহুদী সম্প্রদায় মদিনার প্ৰান্তদেশে বাস করিত । এক্ষণে এই দুই সম্প্রদায় একত্রিত হইয়া মুসলমানগণের ধ্বংসের জন্য মদিনা আক্রমণার্থ বহির্গত হইল। হজরত তাহাদের যুদ্ধ সজ্জার সংবাদ পাইয়া ২০০ শত শিষ্য সমভিব্যাহারে তাহাদের সম্মুখীন হইবার জন্য বহির্গত হন। তিনি পথিমধ্যে বিতনেওয়াদি নামক স্থানে কতকগুলি উষ্ট দেখিতে পাইয়া এসার নামক ইহুদীদিগের একজন ভৃত্যকে শত্রুদিগের অবস্থান ভূমির কথা জিজ্ঞাসা করেন। সে বলিল, “যেখানে জল আছে, সেইখানেই তঁাহারা আছেন।” পরে হজরত তাহদের অনুসন্ধান না পাইয়া মন্দিনায় প্রত্যাগমন করেন। ইহুদীগণ অতর্কিতভাবে মুসলমানদিগকে আক্রমণ করিবে মনস্থ করিয়াছিল, কিন্তু তাহা হইল না দেখিয়া তাহারা পলায়ন করিয়াছিল। নেজাদ প্রদেশের মধ্যস্থিত জিয়ােমর নামক স্থানবাসী বনি সালেম ও বনি মহারেব নামক ইহুদী সম্প্রদায়দ্বয় একত্রিত হইয়া হজরতের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্ৰা করে। হজরত ইহার সংবাদ পাইয়া ওসমানকে মন্দিনায় আপনার প্রতিনিধি পদে নিযুক্ত করিয়া ৪০০ শিষ্য সমভিব্যাহারে বহিৰ্গত হন । পথিমধ্যে হাকবার নামক এক জন খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী লোকের সহিত তঁহার সাক্ষাৎ হয়, সে শক্রিগণের অবস্থানভূমি হজরতকে দেখাইয়া দিয়াছিল। হাব্বার পরে হজরতের নিকট ইসলামধৰ্ম্মের নীতিসমূহ শ্ৰবণ