পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QR(5wb0f3 KQ (t যাহাই হউক, তাহার সেই মনোভাবে আমার মনে অনেকটা আশার সঞ্চার হইল। মনে করিলাম, আমার প্রচুর উপদেশ-বৃষ্টিবৰ্ষণে তাহার প্ৰেমতৃষ্ণাৰ্ত্ত মরুহৃদয়ে এক সময়ে না এক সময়ে সৎপ্রবৃত্তির বীজ উপ্ত হইবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আমি বহু শাস্ত্রবচন উদ্ধত করিয়া এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ফুটনোট করিয়া তাহাকে বুঝাইতাম যে, ধৰ্ম্মপত্নীর উপর দুর্ব্যবহার করা শাস্ত্ৰবিগহিত কাজ ; এবং তজ্জন্য অধঃপতন আনিবাৰ্য্য। নরেন্দ্রের সহিত একান্ত হৃদ্যতায় আমার যে এই অযাচিতভাবে উপদেশ প্রয়োগে কিছু অধিকার আছে, তাহা শশিভূষণ বুঝিত ; এবং ভবিষ্যতে যাহাতে আমার উপদেশ রক্ষা করিয়া কাজ করিতে পারে, সেজন্য যথেষ্ট আন্তরিকতা প্ৰকাশ করিত । এইরূপে তাহাকে অনেকটা প্ৰকৃতিস্থ করিলাম। কিছুদিন সে আমার কথা রক্ষা করিয়াছিল ; পরে আবার যে-কে-সেই । যেদিন বেশি মদ খাইত, সেদিন লীলার প্রতি দুবৃত্তের অত্যাচার একেবারে সীমাতিক্রম করিয়া উঠিত। তখন আমি উপদেশের পরিবর্তে রুষ্ট-হৃদয়ে তাহাকে যথোচিত তিরস্কার করিতাম। কখন সে মৌন থাকিত এবং কখনও বা অসন্তোষ প্ৰকাশ করিত । একদিন শশিভূষণ মদের মুখে-অসদ্ভাবে নয়, সরল প্ৰাণে কলুষিত কাহিনী-পূর্ণ এইরূপ আত্ম-পরিচয় আমাকে দিতে লাগিল, “ভাই যোগেশ, আমার মতি গতি যাহাতে ভিন্নপথে চালিত হয়, সেজন্য তুমি যে যথেষ্ট চেষ্টা করিতেছ, তাহা যে আমি বুঝিতে পারি নাই, তাহা নহে। যদিও আমি মাতাল, কাণ্ডজ্ঞানহীন, তথাপি আমি তোমার মনের ভাব বেশ বুঝিতে পারি। তুমি আমাকে অনেক বুঝাইয়াছ, বুঝি নাই, ভৎসনা করিয়াছআমারই ভালর জন্য। সব বুঝিতে পারি, বুঝিলে হবে কি, বেশী মদ খাইলে আর আমার কিছুই মনে থাকে না। বাচিয়া থাকিতে যে মদ ছাড়িতে পারিব-কখনই না। যদিও পারিতাম, এখন আর তাহা পারিব ད།