পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o হত্যাকারী কে ? শশিভূষণ, আমি জীবিত থাকিতে তুমি লীলার একটি মাত্ৰ কেশের অপচয় করিতে পরিবে না । ইহার পর লীলার প্রতি যদি কখনও তোমার কোন অত্যাচারের কথা শুনি, সেই দণ্ডে আমি তোমাকে খুন করিব। তাহাতে আমাকে যদি ফাসির দড়িতে বুলিতে হয়, তাহাও শ্ৰেয়ঃ-আমি আর কখনই তোমাকে ক্ষমা করিব না ।” শশিভূষণ অত্যন্ত রোষাবিষ্ট হইয়া, মস্তকান্দোলন করিয়া কহিল, “বেশ বেশ, কে কাকে খুন করে দেখা যাবে। আমি আগে লীলাকে খুন করুব— তার পর তোকে খুন করব।--কি স্পৰ্দ্ধা, লীলার একটা কেশের অপচয় কয়লে আমাকে খুন করবে ! আমি যদি আজ লীলার রক্ত-দর্শন না করি, তা হলে আমার নাম শশিভূষণই নয় ; দেখি, তুই আমার কি করিস।” দুবৃত্ত তখন অত্যন্ত মাতাল হইয়াছিল ; তাহার সহিত আর কোন কথা কহ। যুক্তি-সঙ্গত 'নহে মনে করিয়া, আমি তাহার বাগান হইতে বাহির হইয়া আসিলাম । সে চলিয়া গেল, কি দাড়াইয়া রচিল, একবার ফিরিয়া দেখিলাম না । সপ্তম পরিচ্ছেদ রাস্তায় আসিয়া মনটা বড়ই খারাপ হইয়া গেল। নিজেকে বারংবার ধিক্কার দিতে লাগিলাম। কেন আমি শশিভূষণকে এমন রাগাইয়া দিলাম ? এই রাগের মুখে হয় ত আজি মদোন্মত্ত পিশাচ অভাগিনী লীলাকে কতই না যন্ত্রণা দিবে ? এত দিন এত সহিয়াছি-আজ কেন আমি এমন করিলাম ? কি কুক্ষণে কোন দুমুখের মুখ দেখিয়া আজ আমি শশিভূষণের সঙ্গে দেখা করিতে বাটীর বাহির হইয়াছিলাম ! কেন আমি এমন সর্বনাশ করিলাম ! হায় হায় । আমি লীলার ভাল করিতে গিয়া অগ্ৰেই তাহার মন্দ করিয়া ফেলিলাম । মনুষ্য যা মনে করে। --নির্দয় বিধাতা তাহার এমনই বিপরীত ঘটাইয়া দেয় ।