পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা আর একটা কথা আছে, আমার বোধ হয়-ঠিক বলিতে পারি নাrf–f-” শশিভূষণকে ইতস্ততঃ করিতে দেখিয়া নিজেও যেন একটু ব্যতিবুস্তি হইয়া উঠিলাম। সে ভাব তখনই সামলাইয়া আমি তাহাকে বলিলাম, “কথা কহিতে এমন সন্ধুচিত হইতেছ। কেন ? তুমি যা জানা বা বোধ করা, আমাকে স্পষ্ট বল ।” শশিভূষণ বলিল, “লীলার বুকে ছুরি বসাহিতে পারে, একজন ছাড়া তাহার এমন ভয়ানক শত্রু আর কেহ নাই । তাহারই উপরে আমার কিছু সন্দেহ হয়—” আমি অত্যধিক ব্যগ্রতার সহিত জিজ্ঞাসা করিলাম, “কে সে ?-- তাহার নাম প্ৰকাশ করা নাই কেন ?” শশিভূষণ অনুচ্চ স্বরে বলিল, “তুমি তাহাকে জান, আমি মোক্ষদার কথা বলিতেছি । যেদিন আমার বিবাহ হইয়াছে, সেইদিন হইতে মোক্ষদাও ভিন্ন মূৰ্ত্তি ধরিয়াছে । কি একটা হতাশায় সে যেন একেবারে মরিয়া হইয়া উঠিয়াছে। অনেকবার সে আমাকে শাসিত করিয়া বলিয়াছে, “ইহার ফল তোমাকে ভোগ করিতে হইবে-আমি যে-সে মেয়ে নই।--তবে আমার নাম মোক্ষদা। এক বাণে কেমন করিয়া দুটা পাখী মারিতে হয় আমা হইতেই তাহা একদিন তুমি দেখিতে পাইবে।” শশিভূষণ আবার দুই হাতে দুই চক্ষু আবৃত করিয়া কঁাদিতে লাগিল । আমি অতিশয় চকিত হইয়া উচ্চকণ্ঠে বলিলাম, “অসম্ভব । তাহা কি कश्न७ श्श ?' অনুতাপদগ্ধ রোরুদ্যমান শশিভূষণ বলিল, তাঙ্গা না হইলেও, আমি তোমাকে বিশেষ অনুনয় করিয়া বলিতেছি, লীলার প্রকৃত হত্যাকারী কে, যাহাতে তুমি সন্ধান করিয়া বাহির করিতে পার, সেজন্য যথেষ্ট চেষ্টা করিবো।” তাহার পর মুখ হইতে স্থাত নামাইয়া, তাহার অশ্রুসিক্ত করুণ