পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা w) ) “প্ৰমাণ আর কি, একজন ত স্পষ্ট স্বীকার করিতেছে, শশিভূষণ সেইদিন রাত্রে যখন তাহার নিকটে বিদায় লইয়া আসে, তখন সে তাহার স্ত্রীকে হত্যা করিবে বলিয়া তাহার কাছে স্বীকার করিয়াছিল। এই কথা এখন আবার সে পুলিসের কাণেও দিতে চায়।” আমি চমকিয়া উঠিলাম, বলিলাম, “কে সে ?” অক্ষয়। সেই মোক্ষদা, এখন শশিভূষণ যাহার ঘাড়ে এই খুনের অপরাধটা চাপাইবার চেষ্টা করিতেছে। বোধ হয়, তুমি এখনও শোনা নাই, সেই হত্যারাত্রে মোক্ষদাও শশিভূষণের বাড়ী পৰ্যন্ত তার পিছনে পিছনে এসেছিল । আমি । কি আশ্চৰ্য্য । আপনি সেই মোক্ষদার কথা বিশ্বাস করিলেন ? অক্ষয়। বিশ্বাস করা অভ্যাসটা আমার আদৌ নাই। সেটা পুলিসকন্মচারীদের বড় একটা আসেও না । তবে কি জানেন, সে যদি এখন সেই সব কথা প্ৰকাশ করিয়া দেয়, তাহা হইলে শশিভূষণের দোযট আরও ভারী হইয়া উঠিবে। শশিভূষণকে বাচাইতে হইলে মোক্ষদার মুখটা আগে বন্ধ করা চাই। আমি । তা কেমন করিয়া হইবে । এই সব পুলিসের হাঙ্গামে জড়াইবার ভয়ে যদি না সে নিজেই চুপ করে, তবে আমরা কোন উপায়ে তাহার মুখ বন্ধ করিব ? : অক্ষয়। টাকা-ট্যাক-টাকাতে সব হয় । নিশ্চয়ই কাজ উদ্ধার তইবে-এই সব নিয়ে দিনরাত মাথা ঘামিয়ে আমি মাথার সমুদায় চুল পাকাইয়া ফেলিলাম। আপনি এক কাজ করুন ; আপনি নিজে গিয়ে তার সঙ্গে একবার দেখা করুন ; কি করিলে এখন ভাল হয়, তখন আপনি সেটা নিজেই ঠিক করিতে পরিবেন। আমি । আমি ? মোক্ষদার সঙ্গে ।