পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা S8 (? আমি তাহার সেই তন্ময়তার মধ্যে একটু অবসর পাইয়া বলিলাম, “ও হরি। আপনি তাহা হইলে এখন সেই মোক্ষদাকে দোষী ঠিক। --” বাধা দিয়া, আমার মুখের দিকে ক্ষণমাত্ৰস্থায়ী একটা বিরক্তিব্যঞ্জক দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া সহস্যমুখে বলিলেন, “মোক্ষদা ? তাও কি সম্ভব ! এ কি কাজের কথা ? আপনি অত্যন্ত অধীর হইয়া উঠিয়াছেন দেখিতেছিআপনি আমার নিযোক্তা-আপনার কাছে কথাটা আর অধিকক্ষণ গোপন রাখা ঠিক হয় না। অন্য আর প্রমাণ দেখাহবার কোন আবশ্যকতা নাই— আমি একেবারে হত্যাকারীকে আপনার প্রত্যক্ষ করা হয় দিতেছি।” বলিতে বলিতে অক্ষয়কুমারবাবু উঠিলেন। ক্ষিপ্ৰহস্তে পথের দিককার একটি জানালা সশব্দে খুলিয়া ফেলিলেন। এবং জানালার সম্মুখভাগে বুকিয়া কাহাকে লক্ষ্য করিয়া বংশীধ্বনি করিলেন । নবম পরিচ্ছেদ নিদারুণ উৎকণ্ঠায় আমার আপাদমস্তক কঁপিয়া উঠিল এবং দৃষ্টির সম্মুখে সর্ষপ-কুসুম নামক বিবিধ-বৰ্ণ-বিচিত্র ক্ষুদ্র গোলকগুলি নৃত্য করিয়া উড়িয়া বেড়াইতে লাগিল । ক্ষণপারে দুইটি লোক সেই ঘরে প্রবেশ করিল। একজনকে দেখিবামাত্র পুলিস-কৰ্ম্মচারী বলিয়া চিনিতে পারিলাম। আর তাহার পাশের লোকটি সেই-ই- গত রাত্রে যে বালিগঞ্জের পথ হহঁতে আমার বাড়ী পৰ্য্যন্ত আমার অনুসরণে আসিয়াছিল । সেই লোকটির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া অক্ষয়কুমারবাবু আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কি এই লোকটিকে চিনিতে পারেন ?” আমি বলিলাম, “হঁয়, যখন আমি আপনার বাগান হইতে বাড়া ফিরিতেছিলাম, তখন এই লোকটি আমার বাড়ী পৰ্য্যন্ত আমার অনুসরণ