পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা 8I হস্তাবমর্ষণ করিতে করিতে অতি উৎসাহের সহিত বলিতে লাগিলেন, “মোক্ষদা বেটি ভারি চালাক-ভারি বুদ্ধিমতী-সাবাস মেয়ে যা হোক —যতদূর ফিচেল হতে হয়। কি জানেন, যোগেশবাবু, তাহা হইলেও আমি মোক্ষদার উপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে পারি নাই। আপনাদের সহিত সাক্ষাৎকালে সে যদি আমার কথা আপনাকে বলিয়া দিয়া থাকে, যে আমি আপনাকে ফাঁদে ফেলিবার চেষ্টা করিতেছি ; অথবা আপনি কৌশলে তাহার মুখ হইতে কোন কথা বাহির করিয়া লইয়া আমার অভিপ্ৰায় বুঝিতে পারিয়া থাকেন, এই আশঙ্কা করিয়া আমি এই লোককে তখন আপনার বাড়ী পৰ্য্যন্ত আপনার অনুসরণ করিয়া দেখিতে বলিয়াছিলাম। আপনি বাড়ীতে যান, কি আর কোথাও যান-কি করেন, আপনার মুখের ভাব কি রকম, এই সব লক্ষ্য করিতে বলিয়া দিয়াছিলাম। যখন আপনি বাড়ীতে প্ৰবেশ করিলেন, এই লোক তাহার পর আপনার বাড়ীর সম্মুখে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়া যখন আর আপনাকে বাহিরে আসিতে দেখিল না-তখন নিশ্চিন্ত মনে ফিরিয়া আসিয়া আমাকে সংবাদ দিল । তাহার পর আপনার নামে আজ ওয়ারেন্ট বাহির করিয়া আমার কৰ্ত্তব্য নিম্পন্ন করিলাম। বলিতে কি, অনেক খুনের কেস আমার হাতে আসিয়াছে, তার মধ্যে একটা ছাড়া এমন অদ্ভুত কোনটাই নয়। যাহা হউক, এখন বুঝিলেন, শশিভূষণ নিরপরাধ এবং ব্ৰহভচ্যানকারী কে দু’”