পাতা:হরফ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক ব্যাপার নিয়ে তীক্ষা ব্যঙ্গ বিভ্রাপভরা লেখা হলে, দুঃখ-দুৰ্দশার শুধু ছবিটুকু সামনে ধরে দিলেই সার্থক হয় এমন ধরণের লেখা হলে মহেশ আপত্তি করে না, ধনদাসও আপত্তি করে না। এসবও বিদ্রোহের রচনা। ধনদাস কিন্তু সেটা ধরতে পারে না একেবারেই I অথবা বিদ্রোহী লেখক কবিদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার আর কোন উপায় নেই বলে অগত্যা এটুকু সে মেনে নিয়েছে ? ব্যঙ্গ বিদ্রপী তো হাসির ব্যাপার, ওতে দোষ নেই-স্বয়ং ভগবানকে নিয়েও তো হাসি-তামাসা করা হয় । ংসারে দুঃখ-দুৰ্দশা আছে, তার বর্ণনাতেও দোষের কিছু নেইসে জন্য দায়ী কে, সেটা বিশ্ৰী রকম ভাবে না বলা থাকলেই হল ! এ রকম লেখা লিখলে দোষ হয় না-নীতি হিসাবে এটা মানব আর খালেক মেনে নিতে পারে নি । মহেশের বয়স, অভিজ্ঞতা স্নেহ আর সদিচ্ছাকে শুধু তারা স্বীকৃতি দিয়েছে। মহেশ বলে, লেখার এটম বোমা বানাতে কে তোমাদের বারণ করেছে ? " বানাও, ছড়াও, চাহিদা বাড়াও। লোকে যদি বলে য়ে ওরকম লেখ, না থাকলে আমরা কাগজ ছোব না, ওরকম না হলে বই কিনব KYSDDD BOBBDD DD BK DBDB uuBSS DDDLDD LDLS BBBDK শুনিয়ে ওকে গলিয়ে দেবে। পয়সা ছাড়া ওর কোন নীতি আছে ? ওর রুচি নীতি আদর্শ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে গায়ে জ্বালা ধরিয়ে লাভটা কি ? ওকে যারা পয়সা দেয়, তাদের রুচি নীতি আদর্শ বদলে দাওপাঠকপাঠিকার দিকে তাকাও । পয়সা দিয়ে তারা যদি এমন গরম লেখা কিনতে চায়, যে কম্পোজ করতে সীসার হরফ গলে যাবে খালেক বলে, কিন্তু অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে চলতে গেলে লেখক নরম হয়ে যাবে না ? সুবিধাবাদী হয়ে যাবে না ? মহেশ বলে, সেটা লেখক বুঝবে। অবস্থা তো লেখকের মনের ফাকা