পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া SRS “অসময়ে জোর করিয়া সুভদ্রাকে জড়াইয়া ধরায় সেটা দিদির চোখে পড়িয়া গেল । কিছু দূরের একটি গ্রামে মহেন্দ্ৰ নামে ভগ্নীপতির একজন অন্তরঙ্গ বন্ধুর সন্ত সন্ত বীে মরিয়াছিল। তাড়াতাড়ি সে তার সঙ্গে সুভদ্রার বিবাহ দিয়া দিল । DDBDDBY BBDB DDD DD DBBB DBB BDDLL SDDBD DBBDB মানুষ মহেন্দ্র, লম্বা চওড়া প্ৰকাণ্ড তার শরীর আর শরীর ঘাড়ের মত জোর। মেয়েমানুষ যে মোলায়েম জীব এটা বােধ হয় তাঁর জানাই ছিল না। তার প্রচণ্ড ব্যক্তিত্ব, নিষ্ঠুর পৌরুষ, বীভৎস ভালবাসা আর বাস্তব দরদ যেন সাবান দিয়া আছড়াহিয়া কাপড় কাচার মত সুভদ্রার মনের ছেলেমানুষী ময়লা সাফ করিয়া দিল। মনের আনন্দে সুভদ্রা বীে হইয়া কাটাইয়া দিল কয়েকটা বছর। তারপর আবার তার মনটা কেমন করিতে লাগিল একটা অজানা কিছুর জন্য। মহেন্দ্রের আলিঙ্গনে শিহরণ জাগার, ाग गय ट्रांप्रेक्षांदेब আসিতে লাগিল। ধীরে ধীরে তার মনে হইতে লাগিল, রসিক নামে যে রোগী লম্বা ভীরু ছেলেটা মাঝে মাঝে আসে, তার কাছে কি মুন কেমন করার ওষুধ আছে ? সাধন বৈরাগী নামে যে রূপবান পুরুষটা তার মন ভুলানোর চেষ্টায় নাওয়া খাওয়া ছাড়িয়াছে সে কি তাকে দিতে পরিবে: সে যা চায় ? একদিন মাঝরাত্ৰে সুভদ্রা ধরা পড়িয়া গেল। রাশি রাশি মেঘে। ঢাকা আকাশ হইতে বৃষ্টি পড়িতেছিল টিপি টিপি, মােলায়েম একটু ঠাণ্ড পড়িয়াছিল । সারাদিনের গা-জালানো গরমের পর, একেবারে অচেতন হইয়া ঘুমানো উচিত ছিল মহেঞ্জের। আগের রাত্রে গরমে সিদ্ধ হইতে হইতেও সে মরার মত ঘুমাইতেছিল, সুভদ্রা কখন উঠিয়া গিয়া কখন