পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া S 90 তার রাধা সাজিত সেই যেন কোথা হইতে খুব ভাল রিপুর কাজ भिथिशांछिल । • ওস্তাদ সুভদ্রাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন লাগিল?” সুভদ্ৰা নির্বিববাদে বলিল, “আরেকটা শুনি ?” ওস্তাদের কয়েকটি গান শুনিয়া সকাল সকাল সুভদ্রা বাড়ী ফিরিয়া গেল। বেশ বুঝা গেল, তার গানও বাবুর পছন্দ হয় নাই, তাকেও পছন্দ झूभ नांश् । পরদিন ঘোড়ার গাড়ী চাপিয়া ওস্তাদ সুভদ্রার বাড়ী আসিল। জিজ্ঞাসা করিল, ‘সুভদ্ৰা গান শিখিবে কি, গান ? ভাল ভাল গান ?” সেই ফুলকাটা জামা পায়জামা পরিয়াই ওস্তাদ আজ আঁসিয়াছে, মাথায় শুধু আজ একটি জরি বসানো টুপি, আর চোখের কাজল আরও একটু স্পষ্ট । সুৰ্ম্ম নয়, কাজল। কালিদাসীর ছেলের কাজলপারা চোখের মতই আশ্চৰ্য্যরকম কচি কচি দেখাইতেছে ওস্তাদের চোখ। । দেখিয়াই সাধন একটা কুৎসূিত প্রশ্ন করিল, “নটৱরের বাবু বুঝি গান শিখাইতে পাঠাইয়াছে ওস্তাদকে ?” ওস্তাদ বলিল, “তোবা তোবা, নটবরের বাবু আমার কে ?” • জুগতে এমন বড়লোক কে আছে যে ওস্তাদকে মনিবের মৃত হুকুম দিবে ? বাবু তো শুধু তার সাকরেদ, ওস্তাদের বাড়ীতে যে দু’চারজন গান শিখিতে আসে তাদের সঙ্গে বাবুর তফাৎ এই যে, বাবু গাড়ী পাঠা আর ওস্তাদ তার বাড়ী গিয়া গান শিখায়। তারপর প্রতি সন্ধ্যায় সুভদ্র ওস্তাদের কাছে গান শিঞ্জিতে লাগিল । কালিদাসী মুখ ভার করিয়া বলিল, “মোছলমানের কাছে গান শিখছ বুন্টুম দিদি ?” সুভদ্ৰা বলিল, “মোছলমান-ই ভাল।”