পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া వts বঞ্চিত করেছেন সেইটাই বোধ হয়। আর একদিকু দিয়ে এবার তোমার কাজে লাগবে। জামী পরাই ছিল, প্রভার বিস্ময়কে উপেক্ষা করিয়া হেরম্ব বাহির হইয়া গেল। চশমাটা সে বদলাইয়াছে এবং এখন সকাল নয়, অপরাষ্ট্র। তথাপি তাহার চোখে পড়ন্ত সুৰ্য্যালোক বড় অস্বাভাবিক ঠেকিল । এতকাল অলস বৈচিত্র্যহীন জীবনে সে যেন দেখিতে জানিত না, আজ দেখিতে শিখিয়াছে। রাধী বালল, আপনাকে আজ চিন্তিত দেখাচ্ছে । , হঁ্যা । পাড়ায় নাকি কি সব কথা উঠেছে শুনলাম। আপনি কি মনে কানুন আমার আসা ৰাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত ? - তাহাঁর মুখের পানে চাহিয়া রাধা সন্দিগ্ধভাবে মাথা নাড়িল, ঠিক বুঝতে পারছি না। এ আমার কঠিন সমস্তা। বিনামূল্যে সুনাম বিলিয়ে দিলে আপনার যে সবটাই ক্ষতি দাড়াবে। আর আপনার ? রাধা করুণভাবে হাসিল, আমার আবার লাভী ক্ষতি। সে হিসাব চুকিয়ে ফেলেছি। কোথা থেকে এসেছি, কোথায় চলে যাব কেউ তা জানে না, কলঙ্ক কিনতে আমার ভয় কি? একটু ভাবিয়া নতমুখে বলিল, কলঙ্ক রটলে বরং আমার সাহায্যই হবে। আমি জোর পাব। কথাটা হেঁয়ালির মত শোনাইল, কিন্তু হেরম্বের মনে হইল বিন্দুমাত্র বেমানান নয়। রাধা কবিত্ব করিতে বসে নাই, যে বৃহস্ত নিয়া সে জীবনে পদাৰ্পন করিয়াছে তাহাকে অর্থহীন ইঙ্গিতের সাহায্যে ঘনীভূত করিবার ইচ্ছাও রাখে না। কুলিবামাত্ৰ বুঝিতে পারার মত বক্তব্য তাহার নয়। রাধা আবার বলিল, আপনি আমায় এমন দ্বিধায় ফেলছেন । দশ বছর ধরে মনমরা হয়ে থেকে সেদিন যখন সকাল বেলা আপনার বাড়ীর