পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া ܟܠܓ o ? দেখে এসো না আছে কিনা। দোতলায় আছে তিনতলায় बांछ । जय दफुांवांद्र क्रिङद्ध ८ळांदरुद्र দখলুে-এক একজনের এক একটা ঘর। খাটে না শুলে বড়মামার ছেলেমেয়েদের ঘুম আসে না।” “খাটে শুয়ো অভ্যাস হয়ে গেছে হয়তো ।” সুকোমল ফোস করে উঠল, “আমরা কেন নীচের স্যাতসেতে ঘরে গাদাগাদি করে থাকিব ?” “পিসেমশায়ের ভাইও তো নীচের তলায় থাকেন ভাই।” ‘সাধে থাকেন ? বাত নিয়ে সিড়ি ভাঙ্গতে পারেন না বলে । ছোটস্বামীর ওপরে থাকেন।” রাগে অভিমানে সুকোমলের মুখখানা বঁকা দেখায়, “এইতো সবে এলে। দু’দিন থাকে, টের পাবে আমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করে। বাড়ীতে থাকতে দিয়েছে তাই যেন ঢের ” রমেন একগাল হেসে বললে, “ধেৎ, তাই কখনো হয় ? খারাপ ব্যবহার যদি করবে, বাড়ীতে থাকতে 'দেবার দরকার | মনে কষ্ট দেবার জন্যে কেউ কাউকে ইচ্ছে করে বাড়ীতে রাখে নাকি ?” সুকোমল হতভষের মত বলল, “রাখে না ? রমেন বলল, “কেন রাখবে ? একজনকে কষ্ট দিলে নিজেরও কষ্ট হয়, মিছামিছি নিজে কষ্ট পাবে এমন বোকা কেউ নয়। ভাই । আমরা জোর করে থাকতে আসতাম। তা’হলে বরং কথা ছিল । তাতো আমরা আসিনি । আমার কথা ধরে । বাবা পিসেমশাইকে লিখলেন আমি এখানে থাকতে পারব কি না, পিসেমশাই জবাবে আমাকে পাঠিয়ে দিতে লিখলেন- লিখলেন, কোন অসুবিধে নেই। অনাদর করবার জন্যে। আমাকে ডেকে আনার তার কি দরকার ছিল ? বাবাকে তাহলে লিখে দিতেন সুবিধে হবে না।” কথা বলতে বলতে রমেন টেবিলে ছড়ানো বইগুলি গুছিয়ে ফেলৈছে ৮