পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া 9ܛܐ “একদাগের বেশী পড়লে মরে যাবে ?” “না, বেশীরকম নেশা হবে। শিশির সমস্ত ওষুদ খেলেও মরবে - -না, দিন তিনেক নেশায় অজ্ঞান হয়ে থাকবে বড় জোর। ডাক্তার অনেক মানুষ মারে, কিন্তু ইচ্ছা করে একজনকেও মারে না। সুমতি ।” তা নিশ্চয় মারে না, কিন্তু তাই বলিয়া কি এরূপ মন্তব্য করিবার অধিকার ডাক্তারের জন্মায় ? সুমতির বয়স ত কম হয় নাই যে ইহাকে হেঁয়ালি মনে করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিবে, কোন জবাব দিবে। न्मl ! একান্ত অবিচলিত ভাবেই সুমতি বলিল ‘তা বৈকি। কৰ্ত্তব্যের সঙ্গে সব সময় হৃদয়ের যোগ থাকবে তার তো কোন মানে নেই।” অক্ষয় ক্ৰকুঞ্চিত করিল। সুমতির মুখখানি অনেকক্ষণ নীরবে: নিরীক্ষণ করিয়া বলিল “কিন্তু কোনমতে একটা কৰ্ত্তব্যের সঙ্গে হৃদয়ের যোগাযোগ ঘটে গেলেই আর সব কৰ্ত্তব্য ভুলিয়ে দেয়।” । ইহাও হেঁয়ালি নয়। সুমতি বলিল “তা দেয়, কিন্তু কোন কৰ্ত্তব্যের সঙ্গে কার হৃদয়ের যোগাযোগ ঘটেছে অন্য কৰ্ত্তব্যে অবহেলা দেখেই সব সময় 'সেটা ধরা যায় না। কৰ্ত্তব্যের তো ছোট বড় sig ওষুধের শিশি হাতে আকাশের সন্ধ্যার নীচে উঠানে দাড়াইয়া এমন করিয়া আত্মসমর্থনা করিতে সুমতির গলা বুজিয়া আসিতেছিল । * অথচ এ সমস্ত অক্ষয়কে জানানো প্ৰয়োজন । হৃদয়ের হিসাব-নিকাশ যে চিরকালের মত সে চুকাইয়া ফেলিয়াছে অক্ষয়কে ইহা বিশ্বাস করাইতে না পারিলে তাঞ্ছার আর উপায় নাই। বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা টাকার কাছে হার মানিতে পারে -একটি