পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া ܩ < মনটা বিতৃষ্ণায় ভরিয়া তোলে তুতারপর আসে ওমিলনাইনের সুবাস ও৮ পরবর্তী কষ্টগুলি। ব্যাপারটা প্ৰমথকে বেশীরকম দুশ্চিন্তায় ফেলিয়া দিয়াছে এইজন্য যে এই অস্বাভাবিক আক্রমণ ঘটিবার সময় ছাড়া বাকী প্ৰায় সব সময়েই সে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করিতে করিতে মহানন্দে বঁচিয়া থাকে। আগে সে তার বিকারকে গ্ৰাহাই করিত না, এখন এরকম কেন হয় বুঝিবার চেষ্টা করে, এরকম হওয়া বন্ধ করার কোন উপায় আছে কি না বসিয়া বসিয়া তাই ভাবে। তবে, মোটামুটি তাকে সুখীই বলা যায়। পাঁচবছরের বেশী সময়ের ব্যবধান ও কে জানে কতখানি দূরত্ব পার হইয়া সুনীতির মাথার ওমিলনাইন তেলের গন্ধ তার নাক ও মনের সঙ্গে যে রসিকতা করিতে, আসে, সেটা অল্প সময়ের জন্যই। কিছুক্ষণ একটা দুৰ্বোধ্য যন্ত্রণা ভোগ করিবার পরেই সে সুস্থ ও স্বাভাবিক হইয়া উঠিতে পারে। তখন আর বুঝিবার উপায়ও থাকে না যে "তার শান্ত হাসিখুসীি মুখের পিছন দিকে, চুলে ঢাকা খুলির শক্ত হাড়ের তলে যে নৱম মগজটা আছে তার মগ্ন-চেতনার অংশটুকুতে বাস করে এমন খাপছাড়া একটা विकांद्म । হাসিরাশিকে প্ৰমথের এতই ভাল লাগিয়াছে যে, কয়েকদিনের জন্যও তাকে ছাড়িয়া থাকিবার কথা ভাবিলে সত্যসত্যই তার কষ্ট হয়। এ রকম সরলা, স্নেহময়ী, বুদ্ধিমতী ও সহজাত সু-ভাবাপন্ন স্ত্রী পাওয়ার জন্য নিজেকে সে ভাগ্যবান মনে করে। বিবাহ করার আগে যা ছিল ৯ শুধু অসম্ভব কল্পনা, যে সুখ ও শান্তির স্বরূপ সে প্রায় ভুলিয়া যাইতে বসিয়াছিল, জীবনের নিরপেক্ষ সদায় দেবতার কল্যাণে আজ সে প্ৰায় সবই ফিরিয়া পাইয়াছে। শুধু ওমিলনাইনের অত্যাচার সহ করিবার দুর্ভাগ্যটা যদি তার না হইত। আদর্শ জীবন হইত। তার, কোন দিকে, Gडकू भूउ थांकिड ना !