পাতা:হাফেজ.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৮৯ ] আমি মনে করিয়াছিলাম যে, সখী ভিন্ন কখন থাকিব না ; কি বলিব, অন্তরের ও আমার চেষ্টা বিফল হইয়াছে । গতকলা নিশামুখে সহযোগীদিগের স্মরণে স্বরালয়ে গিয়াছিলাম, সুরাভাণ্ড দশনে মন শোণিতাক্ত ও চরণ কর্দমলিপ্ত হইয়াছিল । পরে বিরহযন্ত্রণার কারণ জিজ্ঞাসা করিবার জন্য ফিরিয়া গেলাম, মীমাংসাকারিণী বুদ্ধি সেই প্রশ্নে জ্ঞানহার হইয়াছিলেন । আবু এস্হা কী নীলকান্তমণিখচিত অঙ্গুরীয়ক অতি সমুজ্জল ছিল, কিন্তু সম্পদ দ্রুতগামিনী হইয়াছিল * । হাফেজ, তুমি সেই বিলাসগতি চক্রবাকের অট্টহাস্ত কি দেখিয়াছ ? শমনরূপ শাহিন পক্ষীর আক্রমণে তিনি উদাসীন ছিলেন । - কাহারও মধ্যে বন্ধুতা দেখিতেছি না, বন্ধদিগের কি হইল ? 5ে ম যেন শেষ হইয়াছে, প্রেমাম্পদদিগের কি হইল ? অমৃতবারি কলুষিত হইয়াছে, "শ্ৰীপাদ পেজর কোথায় আছেন + ? পুষ্প শাখা হইতে শোণিত ক্ষরিত হইতেছে, বসন্তসমীরণের কি হইল ? e* খোরাসানের অন্তর্গত নেশাপুর নগরের নিকটে নীলকান্ত মণির এক খনি আছে, তাহাকে আৰু এস্হা কী বলে। আমির শেখ আবু এস্হাক পারস্ত রাজ্যের রাজা ছিলেন, তাহার নামে । এই মণিক্য আকর প্রসিদ্ধ হইয়াছে, এবং এই আকারের মাণিক্যখচিত অঙ্গুরীয়ক আবু এস্হাক অঙ্গুলীতে ধারণ করিয়াছিলেন। + একজন ধৰ্ম্মাত্মা মহাপুরুষের নাম খেজর, এরূপ প্রবাদ যে তিনি অমৃতবারি পানে অমর হইয়াছিলেন।