“‘রমেশ! তোমার তো আজও বিয়ে হয়নি, তুমি সুখদাকে বিয়ে করতে পারবে না? তাহলে এ জন্মটার মতন নিশ্চিন্ত হয়েই ঘানি ঘোরাই এবং যাতে শীঘ্রই আর একটা নূতন জন্ম পাওয়া যায় তারই চেষ্টা দেখি।’
“আমি বিস্মিত হয়ে বল্লাম ‘সুখদা কে?
“‘কেন তোমায় তো আমার বোনের কথা আমি বলেছিলুম। সুখদা তারই নাম। ধরো এই আমার মতনই তাকে দেখ্তে।— পারবে না?’
“আমি দৃঢ়স্বরে উত্তর করলেম ‘কেন পারবো না, ঈশ্বর সাক্ষী তোমার বোনের জন্য তুমি নিশ্চিন্ত থেকো।’
“‘পদ’ খুসী হয়ে আমায় তার বাঁধা হাত দিয়ে জীবনের শেষ আলিঙ্গন চুকিয়ে দিলে। সেই শেষ! জীবনের প্রথম প্রভাতে যা পেয়েছিলেন, জীবনের প্রথম প্রভাতেই তাকে হারিয়ে ফেল্লেম! বিশ্বাসের গণ্ডী দিয়ে বেঁধে সে যাকে আমায় সঁপে দিয়ে গেল, তাকেও আমি নিজের পাপে নষ্ট করে ফেলেছি—হারিয়ে গেছে। কিন্তু দুজনকার স্মৃতিই আজও আমার বুকে আগুন হয়ে ঠিক রে পড়চে, উল্কা হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে! ভুলতে আজও একজনকেও তে পারিনি!—আর কি কোন দিন পারবো?
“—কে আস্চে? তিনিই কি? কেন তাঁকে দেখলেই আমার সুখদাকে মনে পড়ে? সুখদা যদি রাণী হতো, তাহলে তাকেও ঐ রকম সুন্দর দেখাতে পারতো। মানুষে মানুষে মিল থাকে দেখেছি, কিন্তু এতটা মিল এর আগে কখনও দেখিনি!”