পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" হারামণির অন্বেষণ । রসদ যোগানো আমাকর্তৃক যতদূর সন্তবে তাহার আমি বিধিমতে চেষ্টা দেখিব । প্রশ্ন। বলিতেছিলাম যে, যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত পাওয়া না হয়,ততক্ষণ পর্য্যন্তই চাওয়া বাহির হইতে থাকে—পাওয়া হইয়া চুকিলেই চাওয়া বন্ধ হয়। তাই বলি যে, চাওয়া এবং পাওয় একত্রে বাস করিবে কেমন করিয়া—বাঘেগরুতে একঘাটে জল পি’বে কেমন করিয়া ? উত্তর। এইমাত্র তুমি তোমার বাগানের মালীকে ডাকিয়া আম্ৰ চাহিলে। তুমি যদি ইহার পূৰ্ব্বে কোনোকালে আস্ত্রের আস্বাদ না পাইতে, তাহা হইলে কখনই তুমি আম্র চাহিতে না। তবেই হইতেছে যে, চাওয়া বলিয়া যে একটি ব্যাপার, তাহা পাওয়ারই রেস্ অর্থাৎ অনুতান বা লেজুড়। আবার, একটু পূর্বে তুমি যখন তোমার বাগানের মালঞ্চ পর্যবেক্ষণ করিতেছিলে, আর, সেই সুযোগে আমি যখন দিব্য একটি ফুটন্ত গোলাপফুল দেখিয় তাহ তুলিবার জন্য হাত বাড়াইলাম, তুমি তৎক্ষণাং আমার হাত টানিয়া ধরিয়া বলিলে, “কর কি—কর কি! উহার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হইয়া আমার মন বলিতেছে চিরজীবী হইয়া বাচিয়া থাকে। আর, তুমি কি না স্বচ্ছদে উহাকে বধ করিবার জন্ত হস্ত উত্তোলন করিতেছ—তুমি দেখিতেছি জল্লাদের শিরোমণি!” ফুলের সৌন্দর্য সেই যে তুমি জ্ঞানে উপলব্ধি করিলে, জ্ঞানের সেই উপলব্ধিক্রিয়ার নামই পাওয়া, আর, আমি ফুলের গাত্রে হস্তক্ষেপ করিবামাত্র তোমার প্রাণ সেই যে কাদিয়া উঠিল, প্রাণের সেই ক্ৰন্দনের নামই ফুলটিকে বাচাইয়া রাখিতে চাওয়া। যে সময়ে তুমি ফুলটিকে তোমার চক্ষের সম্মুখে পাইয়াছিলে, সেই সময় হইতেই তুমি চাহিতেছিলে যে, ফুলটি চিরজীবী