পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 হারামণির অন্বেষণ । শব্দায়মান নাসিকার প্রতি একদৃষ্টি চাহিয়া রহিল। তুমি তো সামান্ত ডাক্তার নহ, তুমি মহামহোপাধ্যায় এমডি ; বলি তাই— সেই বছর-সাতেকের ছেলেটি তোমারই তো ছেলে ! অ্যালোপাথিক ডাক্তারিবিদ্যায় সে পেট-থেকে-পড়িয়াই পণ্ডিত। সে ভাবিল যে, “বাবার নাকের ছিদ্র দিয়া প্রাণ বাহির হইতে চাহিতেছে-কছুতেই আমি তাহা হইতে দিব না” ; এইরূপ ভাবিয়া ছেলেটি তোমার নাক টিপিয়া ধরিল যতদূর তাহার সাধ্য শক্ত করিয়া। তাহার ফল যাহা হইল, তাহা আনুপূৰ্ব্বিক বলিতেছি, শ্রবণ কর— * প্রথমে নিদ্রার ভাঙো-ভাঙো অবস্থায় তোমার দুঃস্বপ্নপীড়িত অৰ্দ্ধস্ফুট মনে নিশ্বাসপ্রশ্বাসের পথের বাধা সরাইয়া ফেলিবার ইচ্ছার উদ্রেক হইল ; আর, সে যে ইচ্ছা, তাহা নিতান্ত অবলা ইচ্ছা—চাওয়া-প্রধান প্রাণঘ্যাসা ইচ্ছা-বাসনা মাত্র। তাহার পরে তুমি ধড়ফড় করিয়া জাগিয়া-উঠিয়া ছেলেটির হাতের কামড় হইতে তোমার নাসিকা ছাড়াইয়া লইতে ইচ্ছা করিলে ; এবারকার এ ইচ্ছা প্রভাবাত্মক সবলা ইচ্ছা—পাওয়াপ্রধান জ্ঞানঘ্যাসা ইচ্ছা ; ইহারই নাম ঈশনা। যেই তোমার মনে জাগ্রত জ্ঞানের উদয় হইল, সেই-আমি ঈশনার পরাক্রমের চোটে ছেলেটির হস্ত হইতে তৎক্ষণাৎ তুমি তোমার বিপন্ন নাসাগ্র টানিয়া-লইয়া ছেলে-বেচারিটিকে এক-ধমকে কাদাইয়া ফেলিলে। মানস-সরোবরের এ-কুল হইতে ও-কুলে—প্রাণ হইতে জ্ঞানে— উত্তীর্ণ হইবার পথের ঠিক-ঠিকানা এই তো তুমি হাতে-কলমে পরীক্ষা করিয়া সুনিৰ্ঘাত জানিতে পারিলে। পথ-অতিবাহনের ক্রমপদ্ধতির বিবরণ এ যাহা তুমি জানিতে পারিলে, তাহা সংক্ষেপে এই—