পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ーマe হারামণির অন্বেষণ । তুমি সেই অৰ্দ্ধপ্রবীণ ব্যক্তিটির মুখচক্ষুর আকারপ্রকার ভাবভঙ্গীর ভিতরে কয়েকটি পূৰ্ব্বপরিচিত অভিজ্ঞানচিত্ত্ব খুজিয়া পাইয়া আচম্বিতে বলিয়া উঠিবে—“এ কি ! দেবদত্ত যে ” ইহারই নাম অনুমান । এই যে তোমার মনোমধ্যে জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, এবং অনুমান একটার পর আর একটা পরে পরে আসিয়া স্বস্ব কার্য্যে কোমর বাধিযা বসিয়া গেল—এ তো দেখিতেছি একপ্রকার গয়িবী চাল ; যে-ওস্তাদ পিছনে থাকিয়ী চাল চালিতেছে, তাহাকে তো কোথাও খুজিয়া পাইতেছি না; খুজিয়া পাইব কেমন করিয়া ? সে যে অব্যক্ত-সংস্কার ; অব্যক্তসংস্কার আপনাকে ধরিতে ছুইতে দিবীর পাত্র নহে; তাহা কেবল ফলেন পরিচীয়তে। গতরাত্রের স্বপ্নে তোমার মনোমধ্যে জিজ্ঞাসাও ছিল না—অমুসন্ধানও ছিল না। গতরাত্রে শুদ্ধ-কেবল বাসনার মন্ত্রের চোটে অৰ্দ্ধস্ফুট-চেতনের ঝাপসা আলোকে দেবদত্তের প্রতিমূৰ্ত্তি তোমার মনশ্চক্ষুর সন্মুখে দেখা দিয়াছিল। বাসনা অব্যক্তসংস্কারের একধাপউপরের স্তরে নবপ্রস্থত পক্ষিশাবকের ন্যায় ক্ষণে উড়িয়া উপরে ওঠে, ক্ষণে নীচে পড়িয়া গিয়া ভূতলে অবলুণ্ঠন করে ; তাহা একদণ্ডও স্থিব হইয় থাকে না, ক্রমাগতই উড় উড় করে। বাসনা প্রাণঘ্যাসা ইচ্ছা বা প্রাণর্ব্যাস মন। গতরাত্রের স্বপ্নে তোমার অৰ্দ্ধস্ফুট-চেতন শুদ্ধকেবল বাসনাতে ভর করিয়া সম্মুখবর্তী বিষয়ের কাল্পনিক সত্তায় অবগাহন করিয়াছিল। আজ তুমি জাগরিতাবস্থার স্বব্যক্তচেতনের দিবালোকে সুপ্রত্যক্ষ বিষয়ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা এবং অমুসন্ধান চালনা করিয়া জানিতে পারিলে যে, দেবদত্ত তোমার সম্মুখে বিরাজমান। আজকে’কার এই যে তোমার জাগ্রতভাবের জিজ্ঞাসা এবং অনুসন্ধান, ইহার ভিতরে ঈশনার হস্ত স্পষ্টই দেখিতে পাওয়া বাইতেছে। ঈশন আর কিছু না—জ্ঞানধাসা ইচ্ছা বা জ্ঞানধ্যাস