পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ হারামণির অন্বেষণ। ক্ষেত্রে দেখ — সংক্ষিপ্ত নামকরণ । झे} मन (घैश्) প্রাণ | (2 আপাতত এখানে আমি মাঝের অঞ্চলের মনের ব্যাপারটিকে ঐরূপে উহ্য রাখিয়া—বলিতে চাই এই যে, আমাদের জাগরিতাবস্থায়, জ্ঞান এবং প্রাণ কৰ্ত্তাগৃহিণীর ন্যায় একজোট হইয়া একত্রে নিশ্বাসপ্রশ্বাসের পরিচালনাকার্য্যে নিযুক্ত থাকে ; পরস্তু নিদ্রাবস্থায় জ্ঞানের অনুপস্থিতিকালে প্রাণ একাকী ঐ কাৰ্য্য সুনিৰ্ব্বাহ করে। তোমার এই যে নিশ্বাসপ্রশ্বাস ঘড়ি’র কলের দ্যায় বাধা-নিয়মে অষ্টপ্রহর চলিতেছে—তাহা চালাইতেছে কে ? তোমার প্রাণেরই তাহা কাজ, তাহাতে আর সন্দেহমাত্র নাই। এটাও কিন্তু দেখিতেছি যে, তোমার প্রাণের সে যাহা কাজ, তাহার উপরে তোমার জ্ঞানের বিলক্ষণ কর্তৃত্ব চলে ; দেখিতেছি যে, তুমি সজ্ঞানভাবে নিশ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করিতেও পারে, কমাইতে-বাড়াইতেও পারে, ইচ্ছামাত্রেই। এইজন্যই আমি বলিতেছি যে, যেমন কৰ্ত্তাগৃহিণী উভয়ে একজোট হইয়া ঘরসংসার চালা’ন, তেমনি জ্ঞান এবং প্রাণ উভয়ে একজোট হইয়া তোমার নিশ্বাসপ্রশ্বাস চালাইতেছে। আবার, এটাও দেখিতেছি যে, কাৰ্য্যপ্রণালী দোহার দুইরূপ । যেমন—বাধানিয়মে ছোট-ছোট ছেলেদের মানুষ করিয়া তোল৷ গৃহিণীরই কাজ, তা বই, কৰ্ত্ত সে কার্য্যে নিতান্তই অপটু, তেমনি বাধানিয়মে অষ্টপ্রহর নিশ্বাসপ্রশ্বাস পরিচালনা করা প্রাণেরই কাজ ; তা বই, জ্ঞান তাহাতে নিতান্তই অপটু। পক্ষান্তরে,