পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিগুণরহস্ত । २१ ইতরবিশেষ, তাহ জানিতে পারা কঠিন নহে। একের গোটাছুই" ললাটচিহ্লের সহিত অপরের গোটাদুই ললাটচিছু জোকা দিয়া মিলাইয়া দেখিলেই তাহ জিজ্ঞাসুব্যক্তির জ্ঞানে উদ্ভাসিত হইয়। উঠিরে। অতএব দেখা যাক । মাধ্যাকর্ষণের বলবত্তা স্থলভূতের চতুঃসীমার মধ্যেই আবদ্ধ। স্থলভূতের গণ্ডির এক-পা বাহিরে যেখানে ঈশ্বরসমুদ্র স্বৰ্য্যচন্দ্রতারকার করাঘাতে মৃদঙ্গধবনির ন্যায় তালে-তালে তরঙ্গিত হইতেছে, সেখানে (অর্থাৎ স্বল্পভূতের অধিকারক্ষেত্রে ) মাধ্যাকর্ষণতত্ত্ব হালে পানি পায় না। পক্ষান্তরে, ত্রিগুণতত্বের বলবত্তা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আপদমস্তক এবং অন্তরবাহির জুড়িয়া সৰ্ব্বত্র দেদীপ্যমান। আবার, কাঙালের কথা যেমন বাসী হইলেই ফলে, ধনোন্মত্ত ব্যক্তির কথা তেমি বাসী হইলেই কাচিয়া যায়। কোন দিন কোন আবিষ্কৰ্ত্ত মাধ্যাকর্ষণের পুরাতন মত উণ্টাইয়া-দিয়া কোন অশ্রুতপূৰ্ব্ব নুতন মত বাহির করিবেন—তাহ কেহই জানে না ; তখন হয় তো রাজ্যস্থদ্ধ* সবারই মুখ হইতে এরূপ এক নূতন বুলি বাহির হইতে থাকিবে যে, মাধ্যাকর্ষণ একপ্রকার চুম্বক আকর্ষণ, অথবা তাহা এক প্রকার তৈজস-ব্যাপার বা বৈদ্যুতিক-ব্যাপার বা ঐথরিকব্যাপার। পক্ষান্তরে, ত্রিগুণতত্ত্ব যদি উণ্টাইবার হইত, তবে এতদিনে উণ্টাইয়া গিয়া মৃত্তিকাগৰ্ত্তে বিলীন হইয়া যাইত। তাহ হইতে পারে না এইজন্য—যেহেতু ত্রিগুণতত্ত্বের উপদেষ্ট্রী প্রকৃতিমাতা স্বয়ং ; চন্দ্রস্থৰ্য্য যতদিন না উল্টায়, ততদিন তাহা উণ্টাইবে

  • সংস্কৃত সাৰ্দ্ধং হইতে প্রাকৃত ‘স্বদ্ধ জন্মলাভ করিয়াছে । “সাৰ্দ্ধং” কিনা সহিত। “সৰ্ব্বযুদ্ধ" কিনা সৰ্ব্বসমেত। "শুদ্ধকেবল বা "শুধুকেবলু—এ , শুদ্ধেরশ তালব্য শ ; এ-শুদ্ধের অর্থ বিশুদ্ধ বা অমিশ্র, ও-স্থদ্ধের অর্থ সমেত বা সহিত । 'প্ৰভেদ দ্রষ্টব্য।