পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98 হারামণির অন্বেষণ । SAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS মহে—পরন্তু গর্জনধ্বনিও যেমন, গর্জনধ্বনির বিরামও তেমি, দুইই একজোট হইয়া পালাক্রমে মুহুমুহু কৰ্ণকুহরে প্রবেশ করে, আর, সেই গর্জনধ্বনির ভাবাভাবের সমবেত কাৰ্য্যকারিতায় গর্জনধ্বনির অবিরত ধারা শ্রোতার শ্রবণগোচরে প্রকাশ পাইতে থাকে। বিজ্ঞানেব এটা একটা ধ্রুবসিদ্ধান্ত যে, বায়ুর তরঙ্গ শ্রবণপটহে হিলোল হানিবার সময়—ঠিক যেন সমুদ্রের তরঙ্গ দু হানিতেছে, আর দু হনিয়াই পাছু হাঠিতেছে—এইভাবে একবার এগোয় এবং একবার পিছোয় ; ইহাতেই স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, ধ্বনির প্রকাশ ধ্বনির ভাবাভাবের (অর্থাৎ হওয়াযাওয়ার ) মুহুমু হু পৰ্য্যাবৰ্ত্তনের উপরে (অর্থাৎ ওলোটুপালোটের উপরে ) ভর দিয়া দাড়াইয়া থাকে। আলোকের প্রকাশও যে, ঐরূপ ভাবাভাবরূপী দুই নৌকায় ভর দিয়া দাড়াইয়া থাকে, তাহার প্রমাণ এই যে, বায়ুতরঙ্গের এগোনে-পিছোনার ন্যায় ঈথরতরঙ্গের উত্থানপতনও ক্রিয়াশক্তির উদ্যম-সংযমের ওলোটুপালোট । এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, প্রকাশগুণের সঙ্গে আর-দুইটি গুণ অপরিহার্য্যরূপে জড়িত রহিয়াছে; একটি হ’চ্চে অপ্রকাশ অর্থাৎ প্রকাশের প্রতিবন্ধকরূপী জড়তাগুণ, # এবং আর-একটি হচ্চে শক্তিয় প্রভাব অর্থাৎ প্রকাশের সোপানরূপী ক্রিয়াগুণ। এই যে তিন গুণ—প্রকাশ, ক্রিয়া এবং জড়তা, ইহাই পাতঞ্জলের যোগশাস্ত্রে সত্ত্বরজস্তমোগুণ নামে সংজ্ঞিত হইয়াছে ( সাধনপাদ ১৮শ স্বত্র দেখ) । خا۔

  • সাংখ্যের মতে কাৰ্য্য এবং কারণের মধ্যে বস্তুত কোনো প্রভেদ নাই ;

এইজন্য সাংখ্য-পাতঞ্জলের দৃষ্টিতে, অপ্রকাশরুপী অন্ধকার, এবং প্রকাশের প্রতিবন্ধকরূপী জড়ত যাহা সেই অপ্রকাশের কারণ, এ দুয়ের একটিও যা, জার-একটিও ত, একই ; অপ্রকাশও যা, জড়তাও ত, একই। ' '