পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিগুণরহস্ত । NOR MMMSA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ১৭:২২, ৩ মে ২০১৬ (ইউটিসি)NasirkhanBot (আলাপ) ১৭:২২, ৩ মে ২০১৬ (ইউটিসি) মন্ত্রগ্রহণের পূর্বক্ষণে হ (অর্থাং হসন্ত হ) তোমার শ্রবণগোচরে উপস্থিত ছিল না। মম্বোচ্চারণের প্রথম উপক্রমেই হ (হসন্ত হ) তোমার শ্রবণগোচরে আবির্ভূত হইল—আবিভূত হইয়াই তিরোভূত লইল। তিরোভূত তো হইল, কিন্তু তিরোভূত হইয়া—গেল কোথায়? সর্প যেমন সাপুড়িয়ার হস্ত হইতে সরিয়া-পলাইয়া চুবড়িতে ঢুকিয়া বিশ্রাম লভে, হসন্ত-হ তেমনি ধারণার হস্ত হইতে সরিয়া-পলাইয়। সংস্কার গহবরে ঢুকিয়া বিশ্রাম লভিল। এইরূপে হ্ৰীংশদের সাতটি বাষ্টি-অবয়ব একে-একে আবিভূত-তিরোভূত হইয়া সংস্কার-গহ্বরে নিলীন হইল ; তাহাদের কোনোটাই স্বতন্ত্ররূপে প্রকাশ লভিতে পারিল না ; স্বতন্ত্ররূপে প্রকাশ লভিবে কেমন করিয়া ? হু, র, ই, বা, ং স্বতন্ত্ররূপে উচ্চারণ কর দেখি —সহস্ৰ চেষ্টা করিলেও কিছুতেই তাহা তুমি পারিয়া উঠিবে না। যাহা স্বতন্ত্ররূপে মুখে উচ্চারণই করা যায় না, তাহা স্বতন্ত্ররূপে ধারণাতে প্রকাশ পাইবে কেমন করিয়া ? কেমন করিয়া তবে হীংশব্দ ধারণাতে প্রকাশলাভ করিল ? ইহার উত্তর এই যে, যেমন করিয়া ছোটো ছেলেরা পাঠ্যশব্দ বানান করিয়া পাঠ করে—তেমি করিয়া ! কালিদাসশব্দ পাঠ করিবার সময় ছেলেরা বলে—“ক”এ আকার কা, ল’এ ইকার লি, দএ আকার দা, দন্ত্য স, কালিদাস।” পড়য়া-বালক যখন বলিতেছে “ল’এ ইকার লি”, তখন “ক”এ আকার কা” তাহার মন হইতে সরিয়া পলাইয়াছে ; যখন বলিতেছে “দ’এ আকার দা”, তখন “ক”এ আকার কা, ল’এ ইকার লি” তাহার মন হইতে সরিয়া পলাইয়াছে; যখন বলিতেছে "দন্ত্য স", তখন “ক এ আকার কা, ল’এ ইকার লি, দ’এ আকার দা” তাহার মন হইতে সরিয়া পলাইয়া{ে। এইরূপে যখন সব-কটা অক্ষরই সংস্কার গহ্বরে سینکین