পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e হারামণির অন্বেষণ । مسیحیاتحصیب عیسی صحیمخست تحمدحسیحیح SSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS পলাইয়া বসিয়া রহিল, তখন বালকটি পিছন ফিরিয়া তাহাদিগকে সংস্কারের অন্ধকূপ হইতে স্মরণে টানিয়া-তুলিয়া সব-কটাকে যোগস্থত্রে বাধিয়া একচোটে, বলিল “কালিদাস ।” কখনো- ৷ কখনো এমনও ঘটে যে, একটি অন্তমনস্ক ছেলে দন্ত্য স বলিয়াই খেই হারাইয়া-ফেলিয়া “কালিদাস” গড়িয়া তুলিতে পারিতেছে না । তেমি, গুরু যখন তোমার কাণে মন্ত্র দিতেছিলেন, তখন যদি তোমার মন আর-এক দিকে থাকিত, তাহা হইলে তুমি তাহা শুনিয়াও শুনিতে পাইতে না। সমগ্র কালিদাসশব্দ,যেমন করিয়া পড়য়া-বালকের ধারণাতে অধিরূঢ় হয়, হ্ৰীংশব্দ ঠিক তেমি করিয়া তোমার ধারণাতে অধিরূঢ় হইয়াছিল, তাহাতে আর সন্দেহ মাত্র নাই। হ্ৰীংশব্দের ব্যষ্টি-অবয়বগুলা তোমার মন হইতে একেএকে সরিয়া-পলাইয়া তোমার প্রাণের ( অর্থাৎ অব্যক্ত-চেতনের ) যে জায়গাটিতে মাথা গুজিয়া লুকাইয়া ছিল, সেই তমোগুণপ্রধান সংস্কারগহবরে সত্ত্বগুণপ্রধান জ্ঞানের আলোক নিপতিত হইবামাত্র ঐ ব্যষ্টি-অবয়বগুলা একযোগে হ্ৰীংবেশে সাজিয়া বাহির হইয়া তোমার ধারণাতে সোয়ার হইয়া বসিল । সত্ত্বগুণের আলোকরশ্মিকে অভ্যর্থনা করিয়া আনিবার কর্তা কে ? তাহাকে অভ্যর্থনা করিয়া আনিবার কর্তা সেই জ্ঞানধ্যাস মন—ইতিপূৰ্ব্বে যাহার নাম দেওয়া হইয়াছে ঈশনা। আনুপূৰ্ব্বিক তিনটি বিষ য়ের সন্ধান পাওয়া গেল এইরূপ— ( ১ ) প্রকাশিতব্য বিষয়ের ব্যষ্টি-উপাদান-গুলি প্রথমে প্রাণের অব্যক্ত-চেতনে তমোগুণের জড়তাগৃঙ্খলে বাধা থাকে। এ অবস্থায়, সেই ব্যষ্টি-উপাদানগুলি অব্যক্ত সংস্কারমাত্র। তা’র সাক্ষী—হ, র, ই, ং এই ব্যষ্টি উপাদনগুলির কোনোটিই স্বতন্ত্র-রূপ মুখে উচ্চারণ করাও যায় না, শ্রবণে উপলব্ধি করাও যায় না।