পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিগুণরহস্ত । 8X, SAASAASAASAASAASAASAAeeSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS (২) রজোগুণের ক্রিয়াচাপলে সেই অব্যক্ত ব্যষ্টি-উপদান গুলি মনের অন্ধকূটচৈতনে একে-একে আবির্ভূত-তিরোভূত হইয়া প্রকাশে উত্থান করিবার জন্য উড় উড় করিতে থাকে। তার সাক্ষী—হসন্ত হ (হ) যখন আবিভূত হইয়াই তিরোভূত হইল, তাহা তখন প্রকাশে ওঠে ওঠে করিয়া উঠিতে পারিল না। এক কেবল হ না, হ , র, ই, ই, ই ই ,ং এই সাত ব্যষ্টি-উপাদানের সব-ক’টাই ঐরূপ প্রকাশৈ ওঠে-ওঠে। করিল ; কিন্তু উহাদের স্থিতুিকালের ক্ষণিকত্ব-এবং অস্থিরতা গতিকে উহাদের কোনোটাই প্রকাশে আসন জমাইয়া বসিতে সময় পাইল না। প্রকাশে উঠিবার জন্য এই যে উড় উড় ক্রিয়া— ইহা রজোগুণপ্রধান প্রাণঘাস মনের বাসনামাত্র । (৩) রাজোগুণপ্রধান বা ক্রিয়াপ্রধান প্রাণঘ্যাস মনের বাসন উড় উড় করিতে করতে যখন সত্ত্বগুণের প্রকাশালোকের সংস্পর্শ লাভ করে, তখন তাহা জ্ঞানঘ্যাসা ঈশনামূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া ব্যষ্টি-উপাদানগুলিকে সংযোগস্থত্রে গাথিয়া-ফেলিয়া জ্ঞানের সুব্যক্ত-চেতনে উঠাইয়া দ্যায়। তার সাক্ষী, হ+র+ই+ই+ ই+ই+ং = স্ত্ৰীং । সুব্যক্ত, অৰ্দ্ধব্যক্ত এবং অব্যক্ত চেতনের সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে যাহা দেখানো হইয়াছে, আর, সত্ত্ব রজো હવા তমোগুণের সম্বন্ধে এক্ষণে যাহা দেখানো হইল, তাহাতে এটা বেশ বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, সুব্যক্ত-চেতন-ক্ষেত্রে সত্ত্ব গুণের সবিশেষ প্রাদুর্ভাব, অৰ্দ্ধস্ফুট-চেতন ক্ষেত্রে রজোগুণের সবিশেষ প্রাচুর্ভাব, অব্যক্ত চেতন-ক্ষেত্রে তমোগুণের সবিশেষ প্রাদুর্ভাব। ইহার একটি চুম্বক হস্তলিপি এইরূপ—