পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারামণির অন্বেষণ । উপক্রমণিকা । প্রাণ চায় তো আর কিছু না—কেবল সে খাইয়া-পরিয়া কথঞ্চিৎ প্রকারে বৰ্ত্তিয়া থাকিতে পারিলেই বঁাচে । মনের আকিঞ্চন “আর-একটু বেণী—মন চায় আনন্দে বৰ্ত্তিয়া থাকিতে। জ্ঞান হাত বাড়ায় আরো উচ্চে—জ্ঞান চায় অক্ষয়ধনে ধনী হইয়া নিত্যকাল আনন্দে বৰ্ত্তিয়া থাকিতে, অর্থাং আনন্দে বৰ্ত্তিয়া থাকা’র ব্যাপারটাকে আপনার কর্তৃত্বের মুঠার মধ্যে আনিতে। জ্ঞান যাহা চায়, তাহা সে পাইবে কেমন করিয়া ? জ্ঞান যে আত্মবিস্তৃত। একএকবার বিদ্যুতের ন্যায় যখন তাহার স্মৃতি গা ঝাড়া দিয়া উঠিতেছে, তখন সে মাথা তুলিতেছে—তাহার পরক্ষণেই নতশির ! আত্মাকে হারাইয়। জ্ঞান দুৰ্ব্বিপাকে পড়িয়াছে বড়ই বিষম ! মণিহার। ফণীর ন্যায় অধীর হইয়া উঠিতেছে যখনতখন ! হারামণি খুজিয়া বেড়াইতেছে যেখানে-সেখানে ! চেষ্টা ছাড়িতেছে না কিছুতেই ! একবারকার রোগী যেমন আরবারকার রোঝা হয়, জ্ঞান তেমনি—একবার প্রাণ হইয়া কাদিয়া উঠিতেছে, একবার মন হইয়া প্রশ্ন তুলিতেছে, একবার বুদ্ধি হইয়া উত্তর প্রদান করিতেছে। বুদ্ধির কথা—একবার মন বুঝিতছে, প্রাণ বুঝিতেছে না ; একবার প্রাণ বুঝিতেছে, মন বুঝিছে না ; একএকবার আবার এমনও হইতেছে যে, " বুদ্ধি জর কথা নিজে বুঝিতেছে কি না, সন্দেহু। নানা শ্রেণীর