(t Ջ হারামণির অন্বেষণ । ”یہ*بح=۔منتخ_اختصبےبیہ۔ പ്പപ്പാ গান । ২ ॥ বসন্ত আগত ভয়ী সর্থীরী—ইত্যাদি। ১। বলিহারি! সত্ত্বগুণ সাক্ষাং মা সরস্বতী ! তাহার : আবির্ভাবে গীতাঙ্গনাটির অবগুণ্ঠন অপসারিত হইয়া গিয়া যে মাত্র - তাহার সর্বাঙ্গমুন্দর মধুর মূৰ্ত্তি দেখা দিল, আর আমি তৎক্ষণাৎ তোমার কণ্ঠের ফোয়ারা খুলিয়া গেল। জ্ঞানের সুব্যক্ত চেতনের সঙ্গে সঙ্কগুণের অর্থাৎ ঈশনাত্মক প্রকাশজ্যোতির—মনের অৰ্দ্ধকূট চেতনের সঙ্গে রজোগুণের অর্থাৎ বাসনায়ক ক্রিয়াচাপলার প্রাণের অব্যক্ত চেতনের সঙ্গে তমোগুণের অর্থাৎ জড়তাগন্তু অপ্রকাশের— দেখিলে কেমন মৰ্ম্মান্তিক মিল ! জ্ঞান-প্ৰাণ-মন এই যে তিন বস্থ চেতনাচেতনঅৰ্দ্ধচেতন, আর, সত্ত্ব-তমো-রজে এই যে তিনগুণ প্রকাশপ্রাকাশ-অৰ্দ্ধপ্রকাশ-দোহার মধ্যে ভেদ আছে বলিয়া কি তোমার মনে হয় ? আমার তো তাহা মনে হয় না ! কিন্তু তোমার কণ্ঠের ফোয়ারা খুলিয়া গিয়াছে – এখন তাহার উচ্ছাস থামানো ভার। তোমার ভিতরে আমি একটি সুগল মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইতেছি। আমি তোমার গানের শুধুই কেবল শ্রোতা—কিন্তু তুমি তোমার গানের শ্রোতা এবং প্রবর্তন কৰ্ত্ত দুইই এক সঙ্গে । ন জপে তুমি তোমার আপনার কণ্ঠনিঃস্থত গানের আপনি প্রেতি এবং রসগ্রাহী, সেই অংশে তোমার প্রাণের চাওয়া বা বালন পরিতৃপ্ত হইতেছে ; তেমি আবার, যে অংশে তুমি তোমার আপনার গানের আপনি প্রবর্তন কৰ্ত্তা, সেই অংশে তোমার জ্ঞানের পাওয়া বা ঈশনা কিনা কর্তৃত্বশক্তি ফলবতী হইতেছে। তোমার মনের মধ্যে শ্রোতা এবং গায়কের, সমজুদার এবং গুণীর, ভোক্ত এবং কঞ্জার, বাসনা এবং ঈশনার, চাওয়া এবং পাওঁয়ার শুভ
পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬
অবয়ব