বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ হারামণির অন্বেষণ। নানা কথার ঘ্যান্যানানিতে তিতিবিরক্ত হইয়া আমি জ্ঞানকে বলিলাম—“তোমার আপনার সঙ্গে আপনার এরূপ বোঝাপড় চলিতে থাকিবে কতদিন?” ভাবিত অন্তঃকরণে ভ্রললাট কুঞ্চিতকরিয়া জ্ঞান তাহার উত্তর দিলেন এই যে, “হারামণি পাওয়া না যাইবে যতদিন ।” প্রশ্নোত্তর’। মূল জিজ্ঞান্ত দুইটি—(১) কি আছে এবং (২) কি চাই । ইহার সোজা উত্তর এই যে, আছে সত্য,—চাই মঙ্গল। প্রশ্ন। এ যে একটি কথা তুমি বলিতেছ “আছে সত্য”— তোমার এই গোড়া’র কথাটির ভাবাৰ্থ আমি এইরূপ বুঝিতেছি যে যাহা আছে, তাহাই সত্য। তবেই হইতেছে যে, সবই সত্য—সত্য-ছাড়া দ্বিতীয় পদার্থ নাই। কিন্তু মঙ্গল চাহিতে গেলে মঙ্গল বলিয়া একটা পৃথক্ বস্তু থাকা চাই, আর, তা ছাড়া— চাহিবার একজন কৰ্ত্ত থাকা চাই। সত্য ছাড়া দ্বিতীয় পদার্থ যখন নাই—তখন যাহা আছে তাহাতেই সন্তুষ্ট না থাকিয়া তদ্ব্যতীত চাহিবার বস্তুই বা পাইতেছ কোথা হইতে—চাহিবার কৰ্ত্তাই বা পাইতেছ কোথা হইতে ? উত্তর। সত্য আপনিই চাহিবার বস্তু, আপনিই চাহিবার কৰ্ত্ত । সত্য আপনাকে আপনি চান, আপনাকে আপনি পান, আপনাতে আপনি আনন্দে বিহার করেন ;—সত্যই মঙ্গল । প্রশ্ন। আপনাকে-আপনি-চাওয়াই বা কিরূপ, আপনাকেআপনি-পাওয়াই বা কিরূপ? উত্তর। সত্য যদি কষ্মিনকালেও কাহারে নিকট প্রকাশিত