পাতা:হারামনির অণ্বেষণ - দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nა8 হারামণির অন্বেষণ । SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS তেছে, জীবের হৃদয়ে প্রাণরূপে কার্যা করিতেছে, মস্তকে বুদ্ধিরূপে কাৰ্য্য করিতেছে, আকাশে জ্যোতিরূপে দীপ্তি পাইতেছে। আমাদের পূর্ধ্বতন পিতৃপুরুষেরা সেই শক্তিই ত্রিসন্ধা ধ্যান করিতেন ; তাহদের ধ্যানের মন্ত্র ছিল শুধু এই যে, সেই জগপ্রসবিতা দেবতার বরণীয় তেজ যাহা ভূভু বস্ব-রূপী বিশ্বভুবদের সার সর্বস্ব—সেই বরণীয় তেজ ধ্যান করি— তিনি আমাদিগকে জ্ঞানদান করুন। তাহার মঙ্গলময়ী শক্তিতে আমাদের জ্ঞানের সম্মুখ হইতে মোহের আড়াল সরিয়া গেলে—সে আড়াল আর কিছুই না কেবল আমাদের চিরাভ্যস্ত সংস্কারের ঘুমের ঘোর এবং বাসনার স্বপ্ন—তাহা সরিয়া গেলে—সাক্ষাং সত্যকে পাইয়া আমরা প্রাপ্ত জ্ঞান আনন্দ শক্তি এবং আর যাহ। কিছু আমাদের চাই ਸੋ পাইব একাধারে—আমাদের কিছুরই আর অভাব থাকিবে না । তখন আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া দেখিব যে, হারামণি আমাদের অন্তরতম আপ্নি, তোমার-আমার—চরাচর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অন্তরতম আপ্লি ; তাহা হারাইবার জিনিসই নহে । তখন দেখিয়া আমাদের আনন্দ ধরিবে না— যে, যাহার জন্ত আমরা বৎসহারা গাভীর ন্তায় সারারাজ্যে ব দিয়া বেড়াইতেছিলাম, তাহা কোথাও যায় নাই, তাহা আমাদের নিকট হইতে নিকটে—হাতের মুঠার মধ্যে ; আত্মা তিনি প্রাণ তিনি, জ্ঞান তিনি, আনন্দ তিনি !